বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

সিলেটে বারবার বন্যা কেন?

সেলিম আহমেদ
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২২, ০৪:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

সিলেটে বারবার বন্যা কেন?
ছবি: ঢাকা মেইল

মাত্র এক মাসের ব্যবধানে আবারও ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেটবাসী। আগেরবারের তুলনায় এবারের বন্যা আরও ভয়ংকর। অনেকেই বলছেন, স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বন্যা এটি। ১৯৮৮ সালের বন্যার পর এমনটা আর দেখেননি তারা। যদিও এর আগে বিভিন্ন সময়ের বন্যায় মূল সিলেট ছাড়াও সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের হাওর এলাকাসহ নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়া অবধিই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এবার পুরো সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকাই প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে সিলেট শহরের অবস্থা করুণ। অনেক বাসায় নেই বিদ্যুৎ, চুলোয় জ্বলছে না আগুন।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিলেটের উজান ঘেঁষা মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি ও আসামে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে প্রতিনিয়তই ঢল নামছে। সেই সঙ্গে সিলেটের প্রধান নদীগুলো বিশেষত- সুরমা, কুশিয়ারা, মনু ও গোয়াইনসহ বেশিরভাগ নদীর তলদেশই ভরাট হয়ে গেছে। এছাড়াও নগর ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন জলাশয় ভরাট-দখল হওয়াসহ সবমিলিয়ে বৃষ্টির পানির ঢল ধরে রাখতে পারছে না প্রাকৃতিক এই উৎসগুলো। ফলে পানি উপচে দ্রুত বসতি ছাড়াও শহর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।


বিজ্ঞাপন


এছাড়াও হাওরে অপরিকল্পিত ঘর-বাড়ি, বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ, কৃষিকাজসহ নানা তৎপরতার কারণে পানি ধারণের ক্ষমতা আরও কমে গেছে। সেই সঙ্গে আমাদের দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নদীগুলোর চারপাশে বাঁধ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত নিয়ন্ত্রিত পন্থায় ফ্লাডিংকে কন্ট্রোল করছে বলেও মনে করছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। সবমিলিয়ে সিলেটের এসব নদী-জলাশয় খনন ও পরিকল্পিত উন্নয়ন ছাড়া সহসাই বন্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Flood

এদিকে, অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নদ-নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে আগামী ২২ জুন মধ্যে পানি বিপদসীমার আড়াই মিটারেরও বেশি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পাঁচ দিনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে আগামী ২২ জুন ২৬৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে ১৩ দশমিক ৪৫ মিটারে দাঁড়াতে পারে। বর্তমানে এই পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ মিটার। এছাড়া ২২ জুন সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ২৬৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে ১০ দশমিক ৪৩ মিটারে দাঁড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমান এই পয়েন্টের বিপদসীমা ৭ দশমিক ৮০ মিটার।

এ বিষয়ে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার ঢাকা মেইলকে বলেন, হঠাৎ বৃদ্ধি ও উজানের ঢলের পানি যদি যথাযথভাবে নিষ্কাশন হতে পারে, তাহলে তা নিচের দিকে নেমে যায়। আর পাহাড় থেকে উৎপত্তি হওয়া নদীগুলো খুবই খরস্রোতা থাকে। পাহাড়ে যখন বৃষ্টিপাত হয়, সেইসব নদী দিয়ে খুব দ্রুত পানি চলে আসে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। তবে দুই-তিনদিন পর পানি চলে যায়- এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু গত এক দশক থেকে দেখা যাচ্ছে- পাহাড়ি অঞ্চলের নদীগুলো বিভিন্নভাবে দখল হয়ে গেছে, নাব্যতা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে দ্রুত পানি সরে যেতে পারছে না। যার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদী বন্যা হচ্ছে। এছাড়াও অপরিকল্পিত নগরায়ণ, যত্রতত্র বসতি, শিল্পায়ন তৈরি করাও বন্যা-জলাবদ্ধতাকে গতিশীল করেছে।


বিজ্ঞাপন


অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, আমরা আমাদের ভূ-প্রকৃতি নষ্ট করে ফেলার কারণে প্রকৃতির এই নেতিবাচক ফল পাচ্ছি। আমাদের অবহেলা ও অসচেতনতার কারণে আমরা বন্যা ও জলাবদ্ধতার ফল ভোগ করছি।

Flood

বিষয়টিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সহকারী অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান রোমেল ঢাকা মেইলকে বলেন, গত মাসে নরমাল বৃষ্টিপাতের তুলনায় দ্বিগুণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেহেতু এমন বৃষ্টিপাত হয়েছে, তাই এখন যে বৃষ্টিপাত হবে তাতে বেশিরভাগই বন্যা হবে। আমরা জানি বৃষ্টিপাত হলে তিনটি ঘটনা ঘটে। এগুলো হলো- কিছু বৃষ্টি বাড়ি ছাদ, গাছের পাতাসহ অন্য জায়গায় জমা হয়। দ্বিতীয়ত, শুকনো জায়গায় বৃষ্টির কিছু পানি স্থির হয়ে যায়। শুষ্ক মাটিতে পানি স্থির হওয়ার পর বাকি বৃষ্টিপাতের পানি অন্যত্র সরে যায়। অর্থাৎ, নদী-নালার মাধ্যমে প্রবাহিত হয়।

যবিপ্রবির এই অধ্যাপক বলেন, গত মাসে আমাদের দেশসহ ভারতে বৃষ্টিপাতের ফলে এখন আর পানি ধারণ করতে পারবে না। সব পানি নদী-নালার মধ্য দিয়ে চলে আসবে। এটা ফিজিক্যাল সিস্টেম। ভারতে চেরাপুঞ্জি ও আসামে গত তিন দিনে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখন ওই পানি তো নিচের দিকে আসবে। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় দ্রুত সিলেটে পানি আসছে। কিন্তু নদী, জলাশয়, হাওর ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে তা প্রবাহিত কিংবা ধরে রাখতে না পারায় এই বন্যা হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে- আরও কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হবে। ফলে সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ও স্থপতি ইকবাল হাবীব ঢাকা মেইলকে বলেন, বাংলাদেশের জন্য বন্যা হওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু এর অস্বাভাবিকতা এবং মোটামুটিভাবে বন্যা বাড়ার বদলে দ্রুত বেড়ে যাওয়ার তিনটি কারণ রয়েছে। এগুলো হলো- নদী দখল হওয়ার কারণে আগাম সংকেত না দিয়েই দ্রুত বন্যা হচ্ছে।

Flood

দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশের চারপাশের নদীগুলোকে বাঁধ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত নিয়ন্ত্রিত পন্থায় ফ্লাডিংকে কন্ট্রোল করছে। যখনই সিচ্যুয়েশন তৈরি হয়, তারা বাঁধগুলো খুলে দেয়। ফলে দ্রুত বন্যার কবলে পড়ি। আর তৃতীয়ত, বন্যা থেকে সরে যাওয়ার যে পন্থা আমাদের নদী ও খালগুলোতে দখল করে আমরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছি। আমরা ক্রমাগত নদীগুলোতে বাধ দিচ্ছি, বিলের মধ্যে বড় বড় সড়ক ও বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে সরে যাওয়াকে মন্থর করে ফেলেছি। এই তিন কারণেই খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ফলে এমনও জায়গা ছিল যা কখনো ডুবত না, তা এখন একটু বৃষ্টি হলেই ডুবে যায়।

বাপা’র এই যুগ্ম সম্পাদক বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে তো আমরা কিছু করতে পারবো না। তবে ভারতের সঙ্গে যুগপৎ পরিকল্পনা করার তাগিদ আমরা দীর্ঘদিন থেকে দিচ্ছি। আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র এভাবে হঠাৎ পানি ছেড়ে আমাদের বিপদের মুখে ফেলে দিতে পারে না। এখন ভারতের সঙ্গে সরকার দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা কতটা করতে পারবে তা বিচার্য বিষয়। সেই সঙ্গে আমাদের উন্নয়ন নীতিমালা তার মধ্যে টেকসই উন্নয়নের পরিবর্তে যে ধ্বংসকারী উন্নয়নের কার্যক্রম চলছে, সেগুলো থেকে সরে আসতে হবে। পারস্পরিকভাবে পরিকল্পিত কাজ করতে হবে।

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সিলেট অঞ্চলের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী ঢাকা মেইলকে বলেন, ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে শুষ্ক মৌসুমে সুরমায় জেগে উঠে ধু-ধু বালুচর। মানুষ পায়ে হেঁটে এপার থেকে ওপারে যেতে পারে। এছাড়াও বিগত কয়েক বছরে সিলেট নগরীর বেশকিছু খাল দখলমুক্ত করে খনন করা হয়েছে। তবে বর্ষায় সুরমায় পানির ওভার ফ্লো হলে এইসব খাল দিয়ে পানি নিষ্কাসন হওয়ার পরিবর্তে উল্টো পানি ঢুকে অনেক এলাকা তলিয়ে যায়। তাই অতি দ্রুত সুরমা খনন করা জরুরি। না হলে এই বন্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না।

Flood

এদিকে, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম ঢাকা মেইলকে বলেন, মুষলধারে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি ধারণ করতে পারছে না আমাদের নদ-নদী। বর্ষার পানি ধরে রাখতো আমাদের হাওর-বিল বা জলাধারগুলো। অসংখ্য হাওর ও বিল ভরাট হয়েছে। অতিসম্প্রতি বাঘার হাওর ভরাট করে সেনাবাহিনীর ব্রিগেড নির্মাণ করা হয়েছে। বিলে থাকা হাওর ও বিলের তলদেশ ভরে গেছে। হাওরের পানি মেঘনা অববাহিকা দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। হাওরে অপরিকল্পিত সড়ক নির্মাণের কারণে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।

অন্যদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশন, পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিলেটের প্রধানতম নদী সুরমা। প্রায় ২৪৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদীটি ভারতের বরাক নদী থেকে সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনায় মিলিত হয়েছে। বছরে নদীতে থাকে দুই রূপ। শুষ্ক মৌসুমে সুরমা হয়ে পড়ে ধু-ধু বালুচর। এতে ভরাট হয়ে পড়েছে নদীটির উৎসমুখও। এছাড়া নদীর উৎসমুখের ৩২ কিলোমিটারে জেগেছে প্রায় ৩৫টি চর। দুই দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় যৌথ নদী কমিশনে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আটকে আছে উৎসমুখ খননও।

Flood

এদিকে পলি জমে নদী ভরাট হয়ে যাওয়া বর্ষায় অল্প বৃষ্টি আর উজানের ঢল এলেই উপচে পড়ে নদীর দুই তীরে। নদীর তীরবর্তী এলাকায় দেখা দেয় বন্যা। সেই সঙ্গে বৃষ্টিতে নদীর পানি উপচে তলিয়ে যায় হাওরের ফসল। এভাবে সময়ের ব্যবধানে ভরাট হয়ে গেছে সিলেটের অপর প্রধান কুশিয়ারা, মনু ও গোয়াইন নদীও।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সুরমা নদীর উৎসমুখ খননে ২০১২ সালে সিলেট থেকে একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর নদী খননে সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষার পর নদী খননে উদ্যোগ নেওয়ার কথা ওই সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। এরপর এ বিষয়ে আর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরে ২০১৮ সালে সিলেট সদর উপজেলার কানিশাইলে ৬০০ মিটার সুরমা নদী খনন করা হয়। ওই সময় সিলেট সদর উপজেলা এবং কানাইঘাট উপজেলার কয়েকটি অংশে নদী খননের জন্য প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। যা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।

Flood

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘সুরমা-কুশিয়ারসহ এই এলাকার বেশিরভাগ নদীই নাব্যতা হারিয়েছে। এগুলো খনন করা জরুরি। নদী খননের জন্য গত বছর আমরা এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে এটি এখন মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন।’

এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি বলেছেন, ‘সিলেটের নদীগুলো খননের ব্যাপারে আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। আমরা নদী খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী বর্ষার আগেই নদীগুলো খনন করতে হবে।’

অন্যদিকে, সিলেট নগরীর অর্ধশতাধিক জলাশয় ও খাল দখল, ভরাট হয়ে গেছে বলে উঠে এসেছে বাংলাদেশ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) গবেষণায়। বাপার হিসেব মতে, সিলেটে পুকুর-দিঘি মিলিয়ে তিন শতাধিক জলাশয় ছিল। এর দুই তৃতীয়াংশই ভরাট হয়ে গেছে। অনেক জলাশয় ভরাট করে সরকারি প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে। এছাড়া সিলেটের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট-বড় প্রায় ২৫টি প্রাকৃতিক খাল। যা ‘ছড়া’ নামে পরিচিত। পাহাড় বা টিলার পাদদেশ থেকে উৎপত্তি হয়ে ছড়াগুলো গিয়ে মিশেছে সুরমা নদীতে। মূলত এসব ছড়া দিয়েই বর্ষায় পানি নিষ্কাশন হতো। ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো না। এখন অনেক স্থানেই এসব ছড়ার কোনো অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায় না। সেগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই নগরজুড়ে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূ-উপগ্রহভিত্তিক সংস্থা ইসিএমডব্লিইউর পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার (১৮ জুন) বাংলাদেশের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হবে। এর আগে গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে; যা ১২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি। আর গত তিন দিনে সেখানে প্রায় আড়াই হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই অল্প কয়েক দিনে এত বৃষ্টির রেকর্ডও গত ১০০ বছরে নেই।

এসএএস/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর