গাইবান্ধার বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাসহ বেশ কিছু নদ-নদী। সম্প্রতি উজানের নেমে আসা ঢলে এসব নদীতে পানি বাড়তে শুরু করছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। তবে সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
শনিবার (১৮ জুন) সকাল ৯টায় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোলরুম থেকে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদে ৩১ সেন্টিমিটার, করতোয়া ১৫৯ সেন্টিমিটার, ঘাঘট ২ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
কন্টোলরুম থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দায়িত্বরত শামিউর রহমান কাওছার।
জানা যায়, গাইবান্ধার সদরের মোল্লাচর, কুন্দেরপাড়া, কামারজানি ও ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর, গজারিয়া, উড়িয়া ইউনিয়নসহ এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি চরাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করছে। এর ফলে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরও কিছু সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি জমেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। এ নিয়ে
চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে নদীতীরের মানুষেরা। নদীর পানি বৃদ্ধি ও ভাঙনে কেউ কেউ আশ্রয় নিতে শুরু করছে অন্যত্র। গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়েও বেকাদায় তারা। বিদ্যমান পরিস্থিতি শিকার মানুষগুলো এখনও পায়নি সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা।
গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বরত ইউএনও-রা জানিয়েছেন, পানিবন্দি ও ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। শিগগিরই তাদের পাশে দাঁড়ানো হবে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, সম্প্রতি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা ও ভাঙন কবলিত স্থানগুলো ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এইচই