বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

বন্যায় ফসলের বড় কোনো ক্ষতি হবে না: কৃষিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২২, ০৬:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

বন্যায় ফসলের বড় কোনো ক্ষতি হবে না: কৃষিমন্ত্রী

চলমান বন্যায় কৃষির ক্ষেত্রে বড় কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড . মো. আব্দুর রাজ্জাক। বলেছেন, এখন মাঠে বড় ধরনের কোনো ফসল নেই। এ বন্যায় যতটুকু ক্ষতি হবে, সেটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। সেজন্য ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতিও শুরু করা হয়েছে। ফলে এ বন্যায় বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।

রোববার (১৯ জুন) সকালে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) কনভেনশন হলে কৃষি তথ্য সার্ভিসের আয়োজনে ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি ও গণমাধ্যম’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় আমন ধানের ক্ষতি হবে না। সারাদেশে খুব বেশি বীজতলা করা হয়নি এখনও। যা হয়েছে সেটাও নষ্ট হলে খুব সমস্যা হবে না। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত বীজ সংরক্ষিত আছে, পরবর্তী সময়ে সেগুলো চাষিদের দেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, আউশের ক্ষতি একটু বেশি হতে পারে। এখন ১৩ লাখ হেক্টর আউশের টার্গেট করেছিলাম, লাগানো হয়েছে ১১ লাখ হেক্টর। এর মধ্যে ২২ হাজার হেক্টর এখন পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া তিন লাখ ৮৭ হাজার হেক্টরে বিভিন্ন শাকসবজি আছে, সেগুলোর কিছু ক্ষতি হবে।

আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এই মৌসুমের  ফসলগুলো প্রায় সময় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সেভাবে প্রস্তুতি কৃষকও রাখে। আমরাও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সে ক্ষতি পূরণ করব। তারপরও যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, বন্যা ধেয়ে আসছে, আকস্মিক বড় ক্ষতি হবে কি না সেটা জানি না।

মন্ত্রী বলেন, এজন্য আমরা পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখেছি। যদি বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়৷ সেটা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।


বিজ্ঞাপন


agri2

এ সময় আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নানাবিধ সমস্যার কারণে এ দেশে বহুবার খাদ্য সংকটের নজির রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের ক্ষমতাকালীন সময়ে কখনও খাদ্যের অভাব হয়নি। এমনকি খাদ্যের জন্য হাহাকার ও করতে দেখা যায়নি কখনও।

ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে সেটা এ দেশেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তারপরও আমরা পরিকল্পিত কর্মসূচি নেওয়ার চেষ্টা করছি। কৃষি উৎপাদনে যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য এ বছর ২৮ হাজার কোটি টাকা সারে ভর্তুকি দিয়েছি। যেটা অন্যান্য দেশও পারেনি। সেজন্য বিশ্ববাজারে সারের অস্বাভাবিক দাম বাড়লেও এদেশে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যামেরিটাস অধ্যাপক ও বাকৃবির সাবেক উপাচার্য এম. এ. সাত্তার মন্ডল।

কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, ঢাকা ট্রিবিউনের সাংবাদিক রিয়াজ আহমেদ, দৈনিক জনকণ্ঠের সাংবাদিক কাওসার রহমান, প্রথম আলোর সাংবাদিক গোলাম ইফতেখার মাহমুদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড . সুরজিত সাহা রায়।

ডব্লিউএইচ/জেবি

 

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর