বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, এপ্রোচ এলাকার বাতিতে কোনো সমস্যা না থাকলে এবং আর যদি বৃষ্টিপাত না হয়, বন্যার পানি আর না বাড়ে তাহলে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি উড়োজাহাজ উঠা-নামার জন্য দ্রুতই খুলে দেওয়া হবে। যাত্রী ও এয়ারক্রাফটের নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে বিমানবন্দর খুলে দেওয়ার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সোমবার (২০ জুন) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। চলমান বন্যায় বিমানবন্দরের অবস্থা ও আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে বিমানবন্দরের প্রস্তুতি সরেজমিনে দেখতে এদিন প্রতিমন্ত্রী সিলেট আসেন।
বিজ্ঞাপন
এসময় তিনি বিমানবন্দরের রানওয়ে, এপ্রোচ এরিয়া ও টার্মিনালের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে দুপুরে সিলেট আসেন। পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালন ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর সাদিকুর রহমান চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরের এপ্রোচ এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও এই মুহূর্তেই বিমান চলাচল শুরু করা যাবে না। এপ্রোচ এলাকার বাতিগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কি না তা পরীক্ষা করতে হবে। সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের একটি টিম ইতোমধ্যে সিলেট বিমানবন্দরে এসেছেন এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য।
বন্যার কারণে রানওয়ে সংলগ্ন এপ্রোচ লাইট এলাকায় পানি উঠে যাওয়ার কারণে গত ১৭ জুন থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলের পাশাপাশি সিলেট-লন্ডন আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় এই বিমানবন্দর থেকে।
বিজ্ঞাপন
টিএ/জেবি