টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এবার সিলেটে যে ক্ষতি হয়েছে, সেটি কতদিনে কাটিয়ে ওঠা যাবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সোমবার (৪ জুলাই) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এই সন্দেহের কথা জানান মন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় ‘সিলেট অঞ্চলে ঘন-ঘন বন্যা: কারণ, পুনর্বাসন ও স্থায়ী সমাধান’ শীর্ষক ওই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতি (সিবিসাস)।
হাওরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও সড়ক নিয়ে চলমান নানা সমালোচনার জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপনারা বাউল গান শুনতে হাওরে যাবেন, বজরায় টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরবেন, ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া আরও নানা জায়গায় ভালো থাকবেন, আর হাওরের মানুষ গলাপানিতে ডুবে থাকবে তা কি করে হয়? তারাও তো ভালো জীবনের প্রত্যাশা করে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বন্যা উপদ্রুত অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী নানা প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ভাবছে সরকার। কৃষি পুনর্বাসন প্রকল্পে কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদের সার ও বীজ সরবরাহ করবে। এছাড়া হাওরাঞ্চলে সিলেটের খাসিয়াদের মতো বাঁশের মাচাংয়ের ওপর ঘর নির্মাণ করা যায় কি না তা নিয়েও ভাবা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সিবিসাসের সভাপতি আজিজুল পারভেজ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যদের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে অন্যদের মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্প বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য ও বুয়েটের সাবেক বিভাগীয় চেয়ারম্যান এবং ডিন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতীন উদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম, রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ প্রমুখ অংশ নেন।
এ দিন গোলটেবিল আলোচনায় বন্যা দুর্গত এলাকার ত্রাণ বিতরণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন প্রতিদিনের বাংলাদেশের সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সৈয়দ জগলুল পাশা। এছাড়া অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন গোলটেবিল আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক এহসানুল হক জসীম। পাশাপাশি এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নিজামুল হক বিপুল।
এসএএস/আইএইচ