মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ইঞ্জিন বিকল হয়ে নৌকায় ভাসছেন ঢাবির শিক্ষার্থীসহ শতাধিক যাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২২, ০১:৪৭ এএম

শেয়ার করুন:

ইঞ্জিন বিকল হয়ে নৌকায় ভাসছেন ঢাবির শিক্ষার্থীসহ শতাধিক যাত্রী

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়ে বন্যায় আটকা পড়েছেন পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২১ শিক্ষার্থীসহ প্রায় একশ জন যাত্রী। পাহাড়ি ঢল আর বিরামহীন বৃষ্টির কারণে হঠাৎ বন্যা দেখা দেওয়ায় শনিবার (১৮ জুন) দুপুর ৩টায় কপোতাক্ষ-অনির্বাণ ট্যুরিস্ট বোট নামের একটি নৌযানে চড়ে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে সিলেট রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু নৌযানটির দুটি ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় তা মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে। 

এমন পরিস্থিতিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধারের আর্জি জানিয়েছেন সুরমা নদীর মাঝে আটকা পড়া ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০০ যাত্রী।


বিজ্ঞাপন


জানা যায়, তিন দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল শিক্ষার্থী সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে যান। হঠাৎ বন্যা দেখা দেওয়ায় সেখানে তারা আটকা পড়েন। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার দুপুরে কপোতাক্ষ-অনির্বাণ ট্যুরিস্ট বোট নামের নৌযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করে সিলেটের উদ্দেশে পাঠানো হয়। এ সময় আরও বেশ কয়েকজন যাত্রীকে নৌযানটিতে তোলা হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় নৌযানটি অচল হয়ে পড়ে। মধ্য রাত (শনিবার রাত ১২টা) পর্যন্ত তারা মাঝ সুরমায় আটকা পড়ে আছেন। এখন পর্যন্ত তাদের উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসেনি।

আটকা পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শোয়াইব আহমেদ বলেন, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নৌযানটি ছাড়ে। আমাদের নিয়ে এটি সুনামগঞ্জ হয়ে সিলেটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোয়ারাবাজার এলাকায় এসে নৌযানটি থেমে যায়। এর আগে একটি দুর্ঘটনাও ঘটে। নৌযানটির দুটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, চারদিকে শুধু পানি আর পানি। সঙ্গে প্রচণ্ড ঢেউ। মাঝখানে আমরা আটকা পড়ে আছি।

ঢাবির এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, যেকোনো সময় খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারে। আমাদের উদ্ধারে যত দ্রুত সম্ভব সেনাবাহিনীর তৎপরতা দরকার। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে সবার আগে তারা আসতে পারবে। আমরা খুবই আতংকের মধ্যে আছি।


বিজ্ঞাপন


এদিকে, আটকা পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন ঢাবির প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নৌযানটিতে পর্যটক, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষও রয়েছেন। সবমিলিয়ে সেখানে যাত্রীর সংখ্যা ১০০ জনের মতো বলে জানান ঢাবি শিক্ষার্থী শোয়াইব আহমেদ।

/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর