সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় উদ্ধার এবং ত্রাণ তৎপরতার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুর থেকে তারা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য নৌবাহিনীরও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। শিগগির তারাও কাজ শুরু করতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
বৃষ্টি ও ঢল অব্যাহত থাকায় ক্রমাগত পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে সিলেট নগর, ২০টি উপজেলা ও দুটি পৌরসভা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ২৫ লাখ মানুষ।
এরই মধ্যে বন্যা কবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে সেনাবাহিনী। দুই জেলার আট উপজেলায় সেনাবাহিনীর ১০ প্লাটুন এবং ছয়টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। নৌকা দিয়ে বাড়িঘর থেকে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয় আসছেন সেনা সদস্যরা।
সিলেট সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল হামিদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় সিলেটের তিন উপজেলা ও সুনামগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় সেনাবাহিনী পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চালাবে। এর মধ্যে সিলেট জেলার সদর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ জেলার সদর, দিরাই, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জ উপজেলা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন
হামিদুল হক আরও জানান, সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি প্রবেশ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি খাদ্য গুদাম হুমকিতে রয়েছে। এগুলো রক্ষায়ও সেনা সদস্যরা কাজ করছেন।
জিওসি জানান, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় পাঁচটি কাজ করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে-পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করা। বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে পানিবন্দি মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। বন্যা আক্রান্তদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা। স্পর্শকাতর স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সীমিত পরিসরে খাদ্য সামগ্রী ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা।
সেনাবাহিনী জানায়, সেনাবাহিনী নিজস্ব নৌকা দিয়ে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করছে। ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে আরও ‘রেসকিউ বোট’ আনা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের নৌকাগুলোও উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জেবি





























































































































































































