বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

আরও ১০০০টি করে মুজিব কিল্লা ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২২, ০৮:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

আরও ১০০০টি করে মুজিব কিল্লা ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হচ্ছে

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্যার প্রকোপ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক বেড়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সরকার নদীর তলদেশ খননের মাধ্যমে গভীরতা বৃদ্ধিতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও আরও এক হাজার মুজিব কিল্লা ও এক হাজার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ঢাকায় ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা: শিক্ষণীয়, করণীয় ও পুনর্বাস ‘শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায তিনি এসব কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এবং দৈনিক কালের কণ্ঠ যৌথভাবে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। 


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম, ব্র্যাকের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক সাজেদুল হাসান, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিবৃন্দ। লেখক-সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১২২ বছরের ইতিহাসে এত ভয়াবহ বন্যা দেখা যায়নি। সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জায়গা পানির নিচে ছিল। এবারের বন্যা মোকাবেলায় উদ্ধার কাজের জন্য আমাদের ৬০টি নৌকা প্রস্তুত ছিল। এবারের বন্যার পরে আমরা আরও চারশটি নৌকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। বন্যায় আশ্রয়ের জন্য ৫৫০টি মুজিব কিল্লার প্রকল্প ছাড়াও আরও ১০০০ মুজিব কিল্লা ও ১০০০ বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র বানানো হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ যদি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে ৪০টি বন্যাপ্রবণ জেলায় বন্যার এমন ভয়াবহতা আর দেখা যাবে না। পরিশেষে সবাই মিলে যদি কাজ করা যায়, দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্পৃক্ত করতে হবে। তখন সাধারণ মানুষের কাজ হয়ে উঠবে অসাধারণ। প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনতে হবে। নিয়মের প্রয়োগ যদি আমরা ঠিকমতো করতে পারি তাহলেই এমন ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলা সম্ভব।’


বিজ্ঞাপন


ডিএইচডি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর