বাংলাদেশের ১৪টি বন্যা উপদ্রুত জেলায় দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ক উন্নতির জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। আজ শনিবার (১৬ জুলাই) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এ ঋণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ১৪ উপজেলার ১ দশমিক ২৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। বন্যাপ্রবণ জেলায় অভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ প্রস্তুতির উন্নতিতেও এ ঋণ ব্যবহার করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর ফলে ১২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ উপকৃত হবে। রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি রিডাকশন (রিভার) প্রকল্পের আওতায় ৫ শতাধিক বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, সংযোগ সড়ক এবং জলবায়ু সহনশীল কমিউনিটি অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। স্বাভাবিক সময়ে এসব আশ্রয়কেন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হবে। এসব কেন্দ্রে সৌরবিদ্যুৎ, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার সুবিধা থাকবে। নারী ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে। প্রকল্পটি বন্যার প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া এবং আচরণগত পরিবর্তনের পদক্ষেপে সরকারি সংস্থাগুলোর সক্ষমতা জোরদারে সহায়তা করবে।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে সাম্প্রতিক হৃদয়বিদারক বন্যা পরিস্থিতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের গত ৫ দশকের দীর্ঘ অংশীদারিত্বের ওপর ভিত্তি করে এ প্রকল্প উপকূলীয় এলাকার বাইরে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে। এটি এ দেশকে দুর্যোগে সাড়া দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে রূপান্তরে সহায়তা করবে।’
বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশ একটি নিম্নাঞ্চলীয় ব-দ্বীপ। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে বন্যার মাত্রা ও তীব্রতা বাড়ছে। প্রতি বছর বন্যা এবং নদীভাঙনে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষকে প্রভাবিত করে। ফলে নতুন এ প্রকল্পটি তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা এবং সুরমা ও মেঘনা নদীর অববাহিকার অত্যন্ত বন্যাপ্রবণ জেলাগুলোর জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সাহায্য করবে।
যে ১৪টি জেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে সেগুলো হলো- নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ।
ডব্লিউএইচ/ একেবি
বিজ্ঞাপন





























































































































































































