টানা ভারী বর্ষণে এবং ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে কাচালং নদীর পানি বেড়ে রাঙ্গামাটি জেলার সীমান্তবর্তী বাঘাইছড়ি উপজেলার নিন্ম অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে রাঙ্গামাটিতে টানা বর্ষণ হচ্ছে। রোববার পর্যন্ত এই বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
ভারী বর্ষণে একদিকে যেমন পাহাড় ধসের সম্ভবনা অন্যদিকে ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে কাচালং নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি, উভয় আতঙ্কে বাঘাইছড়ি উপজেলার মানুষ। স্থানীয়রা জানান, বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বর্তমানে পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সামাজিক সংগঠন ‘হৃদয়ে বাঘাইছড়ি’ প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসান সোহাগ জানান, আমাদের উপজেলার মাঠ-ঘাট ও রাস্তা কাচালং নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে। এতে করে অন্তত ৩০টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ বর্তমানে পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকটি টিম পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছে। আমরা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, কয়েকদিনের টানা বর্ষণে কাচালং নদীর পানি বেড়ে বাঘাইছড়ি উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আরও দেড় থেকে দুই ফুট পানি বেড়েছে।
তিনি আরও জানান, পানি প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকায় আমরা এ মুহুর্তে কয়টি গ্রাম ও পরিবার বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে তা বলতে পারছি না। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলার সকল স্কুলকে আমরা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছি। আমাদের বেশ কয়েকটি টিম মাঠে রয়েছে। প্রতিনিয়ত আমাদের টিম বন্যায় প্লাবিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করছে। মাইকিং করে প্লাবিত এলাকার মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আহ্বান করা হচ্ছে।
প্রতিনিধি/এএ