সিলেটের সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র ওসমানী মেডিকেল কলেজে ঢুকে গেছে বন্যার পানি। এছাড়া গোটা সিলেট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় হাসপাতালটিতেও নেই বিদ্যুৎ। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। বন্ধ রয়েছে রোগ নির্ণয় পরীক্ষা। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা।
শনিবার (১৮ জুন) বিকেলে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মঈনুল হক বলেন, আবাসিক হল ও কলেজে পানি ঢুকে পড়ায় আপাতত কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে ক্লাস ও পরীক্ষা। শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে হল ছাড়তে শুরু করছেন।
বিজ্ঞাপন
ইন্টার্ন চিকিৎসক ইবনে হাসান রাব্বী বলেন, হাসপাতালে পানি ঢুকে পড়ায় চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা বন্ধ আছে।
আরেক ইন্টার্ন চিকিৎসক মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, হাসপাতালের নিচতলায় এই মুহূর্তে হাঁটু সমান পানি। আর বাইরে কোমর সমান পানি। সকাল ৯টায় জিয়া হল থেকে হাসপাতালে যাই। মোটামুটি সবই ঠিকঠাক ছিল। ১২টার মধ্যেই সব শেষ। হাসপাতালে কারেন্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। হলে ফিরেছি কোমর সমান পানি পাড়ি দিয়ে। রুমে হাঁটু সমান পানি। বইসহ অনেক দরকারি জিনিস ভিজে শেষ। বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, গ্যাস নেই, খাবার পানিও নেই। চারদিকে হাহাকার।
আবু সাঈদ বলেন, আমার জানামতে মেডিকেল এরিয়া সিলেটের সবচেয়ে উঁচু এলাকা, এখানেই এই অবস্থা। না এলাকার কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিজ্ঞাপন
সিলেটে গত বুধবার বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার তা ভয়াবহ রূপ নেয়। এদিন বিকেল থেকে দ্রুত বাড়তে শুরু করে পানি। তলিয়ে যায় সিলেট নগরের বেশির ভাগ এলাকা।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলা। সড়কসহ এই দুই উপজেলার প্রায় পুরোটাই পানিতে তলিয়ে গেছে। সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কও পানির নিচে।
বন্যার পানির কারণে শুক্রবার বিকেলে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সবধরনের বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শনিবার দুপুরে সিলেট রেলস্টেশনও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে সারা দেশের সঙ্গে আকাশ ও রেলপথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিলেট।
এসএএস/এএ/জেবি
