শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

রংপুরের দুই উপজেলায় হাজার মানুষ পানিবন্দী 

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২২, ১০:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

রংপুরের দুই উপজেলায় হাজার মানুষ পানিবন্দী 
ছবি : ঢাকা মেইল

টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় রংপুরের গংগাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার নদীর তীরবর্তী ও দুর্গম চরাঞ্চলের কয়েক হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে। 

শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেলে দেখা যায়, পানি বৃদ্ধির কারণে গঙ্গাচড়া উপজেলায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অনেক বাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজারসহ শত শত ঘরবাড়ি। উপজেলার লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের পশ্চিম বাগেরহাট এলাকায় কয়েকশ’ বাড়িঘর ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট ও জমির ফসল। দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। 


বিজ্ঞাপন


একই উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনিয়াচরের পশ্চিমপাড়ায় ডান তীররক্ষা বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভেঙে যাচ্ছে বাঁধ, বাঁশঝাড়, জমি ও বসতবাড়ি। গত তিন দিনে বাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের তীব্রতা এত বেশি যে, লোকজন বাড়িঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ারও সময় পাচ্ছে না। 

লক্ষিটারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদি জানান, বেড়িবাঁধে ভাঙনের ফলে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে হু হু করে বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম।

পানি বাড়ায় ও টানা বর্ষণে তিস্তা নদী তীরবর্তী কাউনিয়া উপজেলার চর গুনাই, ঢুষমারা, হয়বৎ খাঁ, প্রান নাথ চরসহ কয়েকটি গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, ভাঙনকবলিত কোলকন্দ ইউনিয়নের বিনবিনিয়া চর ও লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলি গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতির মুখে। তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এসব এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। তাদেরকে উঁচু স্থানে যেতে বলা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, বেড়িবাঁধের বাইরে ভাঙনের খবর পাওয়া গেলে জিওব্যাগ দেওয়া হচ্ছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়াবিদ এ কে এম কামরুল হাসান ঢাকা মেইলকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত রংপুরে ১০৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিকেলে তেমন বৃষ্টি হয়নি তবে রাতে বৃষ্টি হতে পারে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, পানিবন্দী মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। 

পানিবন্দী মানুষের পাশে শুধু ত্রাণ বিতরণ নয়, তাদের যেকোনো প্রয়োজনে প্রশাসন পাশে আছে বলে তিনি জানান।  

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর