প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে সিলেট মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে এই বন্যা-প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচার মানসিকতা থাকতে হবে। সে কারণে আমাদের অবকাঠামোগত যত উন্নয়ন হবে সেগুলো মাথায় রেখে করতে হবে।
৯৮ এবং ৮৮ সালের দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আগে থেকেই আমার কার্যালয়ে বন্যার বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য বলে রেখেছিলাম। প্রায় এক-দেড় মাস আগে থেকেই সবাইকে বলতাম, এবার খুব বড় একটা বন্যা আসবে, প্রস্তুতি নিতে। প্রাকৃতিক একটা পরিস্থিতি দেখে আঁচ করা যায়। সেটা দেখেই আমি সবসময় বলছি এবার বড় বন্যা আসবে।
এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় হেলিকপ্টার থেকে লো-ফ্লাই মুডে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে শেখ হাসিনা সিলেটে ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে সিলেট সার্কিট হাউজে যান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানিয়েছে, সিলেটে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ‘লো ফ্লাই মুড’ বা নিচু হয়ে উড়ে, যাতে দুর্গত এলাকার অবস্থা তিনি স্পষ্ট দেখতে পান।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেন সরকারপ্রধান।
সিলেট ও সুনামগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। সোমবার পর্যন্ত পানিবন্দি আছেন অন্তত ৪০ লাখ মানুষ। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।
কিছু প্রাণহানির ঘটনাও শোনা গেছে তবে বিদ্যুৎ, মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট না থাকার কারণে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের কাছেও সঠিক তথ্য নেই।
/এএস