শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী গ্রেফতার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img
কাজী কেরামত আলী। ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর মহাখালী  থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।


বিজ্ঞাপন


বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ তালেবুর রহমান।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান,  কাজী কারামত আলীকে গ্রেফতারের পর ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হতে পারে।

আওয়ামী লীগের সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে হামলার অভিযোগ রয়েছে।

গত ৩০ আগস্ট রাজবাড়ীতে কাজী কেরামত আলী ও তার ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ ১৭০ জনের নামে মামলা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।


বিজ্ঞাপন


রাজবাড়ী সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রাজিব মোল্লা।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কাজী ইরাদত আলীর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাজী রকিবুল হাসান শান্তনু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজিব, জেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুজ্জামান মিয়া সোহেল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহিন শেখ ও রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতু।

মামলায় জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ ও ছাত্রলীগের ১৭০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী রাজিব মোল্লা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। গত ১৮ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র, অভিভাবক ও শিক্ষকরা রাজবাড়ী শহরের বড়পুল মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক উল্লিখিত এজাহারনামীয় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে অতর্কিতভাবে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর নির্দেশে এজাহারনামীয় আসামিরা আন্দোলনকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা নিক্ষেপ করে ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে। এছাড়া আন্দোলনকারীদের বেধড়ক মারধর করে গুরুতর জখম করা হয়। আসামিরা আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেয়নি। আসামিদের আক্রমণে সোনিয়া আক্তার স্মৃতি, নুরুন্নবী, আশিল ইসলাম অভি, রাজিব মোল্লা, মেহেরাব, আলতাফ মাহমুদ সাগর, উৎস সরকার, রিয়াজসহ অসংখ্য আন্দোলনকারীরা আহত হন।

এমআইকে/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন