টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সারাদেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ১৭ মে থেকে ১ জুলাই দুপুর পর্যন্ত এই প্রাণহানি ঘটে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু (৬৮ জন) হয়েছে পানিতে ডুবে।
শুক্রবার (১ জুলাই) দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) পর্যন্ত পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে নয় হাজার ৪৯৬ জন আক্রান্ত থাকলেও শুক্রবার তা বেড়ে ১০ হাজার ২০৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ৬২৯ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ডায়রিয়ায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে। পাশাপাশি বন্যায় সৃষ্ট চোখের রোগ আরটিআইয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৮ জন। তবে এই রোগে এখনও কারও মৃত্যু খবর জানায়নি স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এদিকে, গত ১৭ মে থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বজ্রপাতে আক্রান্ত ১৫ জনের মধ্যে সবাই মারা গেছেন। এছাড়া সাপের কামড়ের শিকার হয়েছেন ১৩ জন। এরমধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে আরও ৬৮ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, বিভাগ অনুযায়ী গত ১৭ মে থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বন্যায় সিলেট বিভাগে ৫৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩, রংপুর বিভাগে পাঁচ ও ঢাকা বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে জেলাভিত্তিক মৃত্যু বিবেচনায় তালিকার শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। গত ১৭ মে থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এই জেলায় মোট ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রয়েছে সিলেট। এই জেলায় বন্যায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পাঁচজন করে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি নেত্রকোনায় ১১, জামালপুরে ৯, ময়মনসিংহে ৬, শেরপুরে ৭, কুড়িগ্রামে ৪ এবং লালমনিরহাট ও টাঙ্গাইলে একজন করে মারা গেছেন।
বিজ্ঞাপন
/আইএইচ