গত এক সপ্তাহ ধরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা জলাবদ্ধ থাকায় খাবারের পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে৷ গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি পানিতে ডুবে আছে শহরাঞ্চলও।
বন্যা শুরু হওয়ার পর গত ১৫ জুন থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় পানির মোটরগুলো চালু করতে পারেননি শহরের বাসিন্দারা৷ এছাড়াও খাবার পানির টিউবওয়েলগুলো এখনও পানির নিচে থাকায় তা দিয়ে নোংরা পানি বের হচ্ছে, যা কোনোভাবেই খাবার যোগ্য নয়৷
বিজ্ঞাপন
সদর উপজেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয় সংলগ্ন হাজীপাড়া আবাসিক এলাকার ৮০টি বিল্ডিংয়ের মানুষের এখন একমাত্র সহায় মিনারেল ওয়াটার আর একটি টিউবওয়েল, যা থেকেও সম্পূর্ণ পরিষ্কার পানি উঠছে না৷
এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা তারা পাননি৷ আর যেসব ত্রাণ সরকারি বেসরকারিভাবে আসছে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের দিকে৷ শহরে ডিপ টিউবওয়েল না থাকায় বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে তোলা যাচ্ছে না খাবারের পানি৷
হাজীপাড়ার বাসিন্দা ফারহান ঢাকা মেইলকে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। গত দুই দিন ধরে মাঝে মাঝে অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ আসছে৷ কিন্তু আমাদের কোনো ডিপ টিউবওয়েল না থাকায় আমরা তা দিয়ে খাবারের জন্য পরিষ্কার পানি তুলতে পারছি না৷ গ্রাম থেকে শহরে অনেক দরিদ্র মানুষ এসেছে, এছাড়াও শহরে অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ আছে, যাদের অবস্থা খুবই খারাপ৷ তারা কারও কাছে যেতেও পারে না, চাইতেও পারে না৷
কথা হয় নৌকা চালক শামসুল হকের সাথে৷ তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে নৌকা চালাচ্ছি। এর আগে রিকশা চালাতাম৷ সরকারি কোনো ত্রাণ এখনও আমার কাছে আসেনি। সবকিছু এনে নৌকা ভরে ভরে গ্রামে নিয়ে যাচ্ছে৷ আমরা এখানে না খেয়ে মরছি৷ আমাদের দেখার কেউ নেই৷ পানির জন্য পুরো এলাকার মানুষ একটা মাত্র টিউবওয়েল ব্যবহার করে, যেটার পানিও অনেক ময়লা৷ আর কিনে পানি খাওয়ার সাধ্য আমার মতো গরিব মানুষের নেই৷
বিজ্ঞাপন
জেবি