টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সারাদেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১০ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ১৭ মে থেকে ৬ জুলাই দুপুর পর্যন্ত এই প্রাণহানি ঘটে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু (৫৭ জন) হয়েছে সিলেট বিভাগে।
বুধবার (৬ জুলাই) দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার (৫ জুলাই) পর্যন্ত পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে ১৩ হাজার ১৯৮ জন আক্রান্ত থাকলেও একদিনে তা বেড়ে ১৩ হাজার ৮৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত আট হাজার ৭৯৪ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ডায়রিয়ায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে। পাশাপাশি বন্যায় সৃষ্ট চোখের রোগ আরটিআইয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮৫ জন। তবে এই রোগে এখনও কারও মৃত্যু খবর জানায়নি স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এদিকে, গত ১৭ মে থেকে বুধবার পর্যন্ত বজ্রপাতে আক্রান্ত ১৫ জনের মধ্যে সবাই মারা গেছেন। এছাড়া সাপের কামড়ের শিকার হয়েছেন আরও ১৫ জন। তবে তাদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে আরও ৮৩ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, গত ১৭ মে থেকে বুধবার পর্যন্ত বন্যায় সিলেট বিভাগে ৫৭, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০, রংপুর বিভাগে ১২ জন ছাড়াও ঢাকা বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে জেলাভিত্তিক মৃত্যু বিবেচনায় তালিকার শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। গত ১৭ মে থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত এই জেলায় মোট ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রয়েছে সিলেট। এই জেলায় বন্যায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হবিগঞ্জে পাঁচজন ও মৌলভীবাজারে ছয়জনসহ মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি নেত্রকোনায় ১৮, জামালপুরে ৯, ময়মনসিংহে ৬, শেরপুরে ৭, কুড়িগ্রামে ৫ এবং লালমনিরহাটে সাতজন মারা গেছেন। এছাড়া বন্যায় টাঙ্গাইলে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
/আইএইচ