সিলেটের শাহপরান থানা জানিয়েছে শহরের শাপলাবাগ এলাকার অধিবাসী টিটু চৌধুরী নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার পর দ্রুতই তাকে হাসপাতালে নেয়া হলেও তার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
টিটু চৌধুরী ঘনিষ্ঠ ও রাজনৈতিক সহকর্মী আলম খান মুক্তি বলেছেন যে টিটু চৌধুরীর বাসার ভেতরে বন্যার পানি ঢুকে পড়ার পর তিনি বাসা ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
`তিনি পানিতে দাঁড়িয়েই টিভির বৈদ্যুতিক সুইচ খোলার চেষ্টা করেছিলেন। এসময় হঠাৎ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ডাক্তাররা বলেছেন,' বলছিলেন খান।
বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এই দুই জেলায় প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসনের হিসাবে বলা হচ্ছে।
সিলেট থেকে সাংবাদিক আহমেদ নূর বলছেন, সিলেট শহরের প্রায় সব জায়গায় পানি উঠেছে। সিলেটে ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে রেল যোগাযোগও।
বিজ্ঞাপন
একই সাথে বন্যার পানিতে তলিয়ে সুনামগঞ্জ শহর পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সিলেট অঞ্চলের প্রত্যন্ত উপজেলাগুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ বলে স্থানীয়রা বলছেন।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় ও দুর্গতদের উদ্ধারে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গত দু'দিনে বহুবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সবার সহযোগিতা চাচ্ছিলেন টিটু চৌধুরী।
আজ সকাল ১১টা ১৪ মিনিটে সিলেট ছাড়তে রেলস্টেশনে মানুষে হিড়িক - এমন একটি সংবাদ শেয়ার করেছিলেন তিনি।
এর মধ্যে সিলেট শহরের বিভিন্ন জায়গায় পানি বেড়ে যায় এবং এসব এলাকাগুলোর মধ্যে শাপলাবাগও রয়েছে। পানি বাড়তে থাকায় বৃদ্ধ মাকে নিয়ে বাসা ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।
তার বাসার সামনেই বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছিলো।
বাসা ছাড়ার আগমুহূর্তে বাসার ভেতরে পানিতে দাঁড়িয়ে টিভির সুইচ খুলে রাখার সময়ই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট শেষ পর্যন্ত মারা যান চৌধুরী।
সূত্র: বিবিসি
একেবি