মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

শেরপুরে উজানে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২২, ০২:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

শেরপুরে উজানে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি

শেরপুরে বন্যার পানি উজানে কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও নিচু এলাকায় নামতে শুরু করায় নতুন করে গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। 

গত বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে দ্বিতীয় দফায় শেরপুরের মহারশি, সোমেশ্বরী, চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানি বন্দী হয়ে পড়ে ৫০ হাজার মানুষ।


বিজ্ঞাপন


রোববার ভোর থেকে মহারশী, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে উজানের পানি এখন নীচু এলাকায় নামতে শুরু করায় নতুন করে গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। তাছাড়া মৃগী নদী, পাগলা নদীর মতো অভ্যন্তরীণ ছোট নদীগুলোতে পানি বাড়ছে৷ 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্যমতে, শেরপুর জেলায় ব্রহ্মপুত্র ছাড়া সকল নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। ভোগাই নদীর নাকুগাঁও পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮২ সে.মি. ও নালিতাবাড়িতে ২২৮ সে.মি. নীচ দিয়ে এবং চিল্লাখালি নদীর বাতকুচি পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৮ সে.মি. নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমার ৩২৫ সে.মি. নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি কমায় ভেসে ওঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। তবে বৃষ্টি ফের বাড়লে নতুন করে গ্রাম প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
flood এদিকে দুর্গতদের সহায়তায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬০ মে.টন চাল, ৩ লাখ টাকা ও পনেরশ’ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আজ দুপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার।

এ সময় তিনি বলেন, মহারশি নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো মেরামত করা হবে।


বিজ্ঞাপন


ঝিনাইগাতীর ইউএনও ফারুক আল মাসুদ বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ১৫ মেট্রিক টন জিআর চাল ও ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আরও ২০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে।

এদিকে শুক্রবার এদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জরুরি ভিত্তিতে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সভা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সভায় সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী, এনজিও, সুশীল সমাজ, স্কাউট, রেডক্রিসেন্টসহ সবাইকে বন্যা মোকাবিলায় সর্বাত্মক আহ্বান জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার ঢাকা মেইলকে জানান, বন্যা পরিস্থিতিতে সব দপ্তরপ্রধানদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। উপজেলাগুলোতে জিআর চাল, নগদ অর্থ, শুকনা খাবার বরাদ্দ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিনিধি/এএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর