কয়েক দিন আগে কবলিত হওয়া সিলেট ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আবারও ডুবেছে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায়। প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জও। একের পর এক অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে পানি। পানি উঠে গেছে বাড়িঘরসহ বিভিন্ন আবাসিক-অনাবাসিক ভবনে। এদিকে পানির তোড়ে রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়া, রেললাইন, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ স্টেশনসহ প্রায় সবখানেই ঘটেছে বিপত্তি। এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় অনেকে মোবাইল ফোনেও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
বিদ্যুৎ না থাকায় নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন এবং যোগাযোগের ডিভাইস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় সংবাদকর্মীরাও মাঝেমধ্যে ব্যার্থ হচ্ছেন সংবাদ পাঠাতে। ভয়াবহ এই পরিস্থিতির মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবারের সংকটও। এতে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় রয়েছে সিলেট-সুনামগঞ্জ। তবে আশার কথা হলো— মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে (শুক্রবার) থেকে তারা উদ্ধার কাজ শুরুও করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সেনাবাহিনীর মানবিক কার্যক্রম দেখে আশা জাগছে মানুষের মনে। প্রাকৃতিক এই ভয়াবহ দুর্যোগে সেনাবাহিনী মাঠে না নামলে এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাধারণ মানুষদের হিমশিম খেতে হত।
জানা গেছে, এ ধাপের বন্যায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক মানুষ নৌকা না থাকার ফলে ঘরবন্দী ছিলেন। এমন অবস্থায় সেনাবাহিনী নৌকা নিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে। একটি ছবিতে দেখা যায় একজন অসুস্থ মহিলা রোগীকে কোলে করে নৌকাতে তুলছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এমন ছবি সকলের হৃদয় স্থান করে নেয়। সেনাবাহিনীর এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করছেন অনেকে।
দেশের যেকোনো সংকটাপন্ন সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানুষের পক্ষে কাজ করে। এমন মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য দেশের সর্বস্থরের মানুষের মনে ঠাঁই করে নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আগামীতেও যেকোনো দুর্যোগে মানুষ জন্য এমন মানবিক সেনাবাহিনী দেখবে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও সুনামগঞ্জে গতকাল (১৭ জুন) থেকে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এদিকে শনিবার (১৮ জুন) থেকে উদ্ধার কাজে নৌবাহিনীও যুক্ত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এএ