সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের ১১ জেলায় সৃষ্ট বন্যা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের চার হাজার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার (১৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত মৃত্তিকাবাহিত কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী জানান, ‘সিলেটসহ কয়েকটি জেলা ব্যাপক বন্যার কবলে পড়েছে। কিছু কম আর কিছু বেশি। বিশেষ করে সিলেট ও সুনামগঞ্জের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এ জন্য ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদফতরে কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবেও করা হয়েছে। বর্তমানে সিলেট অঞ্চলে ২০০টি টিম করা হয়েছে। আমাদের ডাক্তার-নার্সসহ অন্যরাও সেবা দিচ্ছে। টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে কাজগুলো করা হচ্ছে।’
দেশে কৃমি নিয়ন্ত্রণের সফলতা তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের দেশে একসময় কৃমি রোগের অনেক প্রাদুর্ভাব ছিল। ২০০৬ সালে এর বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু হয়। এখন সেটির ব্যাপ্তি ৬৪ জেলায় ছড়িয়েছে। আমরা ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী প্রায় দুই কোটি শিশুকে বছরে দুইবার কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াচ্ছি।’
মন্ত্রী জানান, ‘আগে পরীক্ষা করলে শতকরা ৮০ শতাংশ কৃমি রোগী পাওয়া যেত। এখন সেটি ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এর জন্য মাল্টি সেক্টর কাজ করেছে। যে কারণে আমরা সফল হতে পেরেছি। কৃমি রোগ আমরা প্রায় নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছি।’
বিজ্ঞাপন
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহের আগে থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। আগে ৩০ থেকে ৩৫ জনে ছিল। এখন ৪০০ থেকে ৫০০ হচ্ছে। সংক্রমণ বাড়তে থাকলে মৃত্যু বাড়বে। কিন্তু আমরা যদি টিকা গ্রহণ করি তাহলে আমাদের প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
এই অবস্থায় বুস্টার ডোজ নেওয়া খুব জরুরি উল্লেখ করে সবাইকে এই ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
রোববার এই কর্মসূচির উদ্বোধনের আগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তিনটি সেশন ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এসব সেশনে দেশবরেণ্য চিকিৎসক ও গবেষকরা বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সামিটে কি-নোট উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সৈয়দ মজিবুল হক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ইকবাল আর্সালান, বিএমএ সেক্রেটারি ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরি, স্বাচিপ সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বর্ধণ জং রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ/আইএইচ