ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার পানি যাতে দ্রুত সরে যেতে পারে এজন্য কয়েকটি সড়ক কেটে ফেলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রোববার (১৯ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তাজুল ইসলাম বলেন, কিছু রাস্তা কাটার প্রয়োজন পড়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের মেয়র। এতে পানি সহজে নেমে যাচ্ছে। কোথাও প্রয়োজন হলে আরও রাস্তা কেটে ফেলা হবে।
এর আগে গতকাল শনিবার (১৮ জুন) মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সিলেট অঞ্চলসহ বন্যা কবলিত এলাকায় রাস্তার জন্য পানি আটকে থাকলে তা কেটে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্যার পানি আটকে যাওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জের হাওরের অলওয়েদার সড়ক নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে- এমন প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলীদের কাছ থেকে এমন কোনো কথা জানা যায়নি। যদি কোথাও কোনো সড়কের জন্য পানি আটকে থাকে তাহলে সেগুলো কেটে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে বেইলি ব্রিজ করে দেওয়া হবে। পরিস্থিতি ভালো হলে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার করে দেওয়া হবে।
রাজধানীতেও বন্যা সতর্কতা আছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, বন্যা হবে সেই সতর্কতা আছে, কিন্তু কী অবস্থায় যাবে বা বন্যা কতটুকু হবে সেই পূর্বাভাস কোনো প্রতিষ্ঠান এখনও দেয়নি।
মন্ত্রী আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের কাছে খালের দায়িত্ব হস্তান্তর এবং অবৈধ দখলমুক্ত করার সুফল মিলছে। ঢাকার জলাবদ্ধতা কমেছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে ইতোমধ্যে ২৬টি খাল হস্তান্তর করা হয়েছে। দক্ষিণ সিটি সাড়ে ছয় একর জমি এবং উত্তর সিটি ২৫ একর জায়গা দখলমুক্ত করেছে খালের।
বিজ্ঞাপন
টিএ/জেবি