টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের বানভাসিদের সহযোগিতা করতে তিন কোটি টাকা অনুদান সংগ্রহ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এরমধ্যে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ত্রাণকাজে ব্যয় করেছেন তিনি। বাকি এক কোটি ৪০ লাখ টাকা এখনও অবশিষ্ট রয়েছে। তাই অবশিষ্ট এই অনুদান থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬০০ পরিবারকে একটি করে ঘর তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। বানভাসি এক বিধবাকে ঘর তৈরি করে দিয়ে এই কার্যক্রমের শুরু করতে চান ব্যারিস্টার সুমন।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে নিজের ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভে এসে এমন ঘোষণা দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
একই সময় ওই বিধবার সঙ্গে কথাও বলেন ব্যারিস্টার সুমন। সেই সঙ্গে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে ঘরটি তৈরি করে দেবেন। এছাড়া বাকি ঘরগুলোও পর্যায়ক্রমে করবেন বলেও ঘোষণা দেন।
লাইভে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় যারা তার কাছে অর্থ পাঠিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ব্যারিস্টার সুমন। একই সঙ্গে সবার টাকা যেন সঠিকভাবে খরচ হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করেন সুমন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, এখন পর্যন্ত তিন কোটি টাকা সংগ্রহ করেছি। এরমধ্যে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা আমি ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য খরচ করেছি। দেড়শ’র বেশি ট্রাকে ত্রাণ সরবরাহ ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নগদ সাহায্য করেছি। কিছু মানুষ টাকা দেওয়ার সময় বলে দিয়েছেন, এই টাকাগুলো যেন আমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের কাজে খরচ করি। এ জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাকি যে টাকাটা আছে, সেই টাকা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য খরচ করব। আরও কিছু টাকা ম্যানেজ করে প্রায় ৬০০ ঘর বানাতে চাই আমরা।
বিজ্ঞাপন
একই সময় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচের বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, প্রায় ১৫ হাজার পরিবারকে আমরা শুকনো খাবার দিয়েছি। তারপর নগদ টাকাও বিতরণ করেছি। আমি যত অনুদান সংগ্রহ করেছি একটা পর্যায়ে ফেসবুকে সব টাকার হিসাব দেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ, মানুষের এই টাকার ওপর আমার ব্যক্তিগত কোনো আগ্রহ নেই।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার কাছে এখন এক কোটি ৪০ লাখ টাকা আছে। আরও টাকা সংগ্রহ করার চেষ্টা করব। সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৬০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে একটি করে ঘর তৈরি করে দিতে চাই। প্রাথমিকভাবে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা দিয়ে আগামীকাল থেকে ঘর বানানো শুরু করতে চাই। আমার বিশ্বাস- ঘর তৈরির কাজ শুরু করে দিলে আরও অনেক মানুষ সহযোগিতা করবেন।
এআইএম/আইএইচ





























































































































































































