জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে এতদিন সবার এজন্য একটি ফরমেটে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠাতেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। তবে এখন থেকে প্রবাসী, চাকরিজীবী ও সাধারণ এ তিন শ্রেণিতে ভাগ করে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। এতে এনআইডি সেবা আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন এনআইডি অনুবিভাগের কর্মকর্তারা।
ইসি কর্মকর্তা জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে জটিল সংশোধন, প্রবাসী নিবন্ধন কার্যক্রমে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সরেজমিন তদন্ত করতে বলা হয়। ওই প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে সংশোধন বা নিবন্ধনের কার্যক্রম নিষ্পত্তি করা হয়। তবে এতদিন গতানুগতিক ভাবে একটি ফরমেটে তদন্ত প্রতিবেদন লিখে পাঠানো হতো। কিন্তু বর্তমান যে তিন ভাগে প্রতিবেদন লেখার ফরমেট তৈরি করা হয়েছে এতে কর্মকর্তার সময়ও শ্রম কম লাগবে। পাশাপাশি নাগরিকরাও দ্রুত তাদের সেবা পাবে।
বিজ্ঞাপন
তারা বলছেন, কারণ এখানে প্রবাসী, চাকরিজীবী ও সাধারণ এ শ্রেণি রয়েছে সবার জন্য আলাদা আলাদা তদন্ত প্রতিবেদনের ফরমেট রয়েছে। যেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে শুধু টিক চিহ্ন দিতে হবে যে তথ্যের মিল আছে কি নেই। আর শেষে সুনির্দিষ্ট মন্তব্য যে সংশোধন করা যাবে কি যাবে না।
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তারা প্রতিবেদন তৈরিতে আমরা তিনটি ক্যাটাগরিতে ছক তৈরি করেছি। একটি ছক বিদেশে থেকে যারা ভোটার হচ্ছেন তাদের জন্য, আরেকটি ছক চাকরিজীবীদের জন্য একটি ছক তৃতীয় ছকটি সাধারণ মানুষর জন্য। প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় যেন নিয়মিত এনআইডি আবদেন সংশোধনের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা যায়, সেই সিস্টেম ডেভেলপ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৩ লাখ ৭৮ হাজারের একটা আবেদন তিন মাসের ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শেষ করার একটি বিষয় আপনাদের বলেছিলাম। আমরা যেদিন বলেছিলাম তারপর আমাদের একটা প্রক্রিয়া ছিল। সেগুলো শেষ করে যখন আমরা কাজ শুরু করতে যাই তখন ২৯ ডিসেম্বর। ইতিমধ্যে আড়াই মাস পার হয়ে গেছে। গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, সেদিন পর্যন্ত আমরা দুই লক্ষ ৭৮ হাজার আবেদন শেষ করতে পেরেছিলাম আগের আবেদনসহ। ইতিমধ্যে আমাদের কাছে আরও ৩ লাখ ২ হাজার আবেদন জমা পড়ে। এ নিয়ে এখন পেডিং আবেদন আছে ৪ লাখের মতো যা আগামী ৬ মাসের মধ্যে শেষ করব।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়াল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ চলমান রয়েছে। এতে আরো প্রায় ৫৭ লাখ ভোটার আগামী জুনে তালিকায় যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে ইসি।
বিজ্ঞাপন
এমএইচএইচ/ইএ