বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকটি শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এসডিজি সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত রয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত বুধবার (৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেলে হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে এক সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ ধার্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিন ন্যূনতম ১০ শতাংশ হারে নতুন ট্যারিফ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আগে দেশটিতে বাংলাদেশের পণ্যে শুল্কের হার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
অতিরিক্ত শুল্কের কারণে দেশের রফতানি বাজার বিশেষ করে পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে বড় অংশই তৈরি পোশাক।
বাংলাদেশ ছাড়াও বর্ধিত ট্যারিফের কবলে পড়েছে আরও বহু দেশ। শুল্কের হার বাড়িয়ে ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ, পাকিস্তানের ওপর ২৯ শতাংশ ও চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর আরোপ হয়েছে ২০ শতাংশ শুল্ক।
এছাড়াও জাপানের ওপর ২৪ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ২৫, মালয়েশিয়া ২৪ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৪৬ শতাংশ, পাকিস্তান ২৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ৪৪ শতাংশ, থাইল্যান্ড ৩৬ শতাংশ ও কম্বোডিয়ার ওপর ৪৯ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়েছে।
এমআর