বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

রংপুরে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি, রংপুর
প্রকাশিত: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

রংপুরের বদরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম লাভলু মিয়া। আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন।

শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় লাভলু।


বিজ্ঞাপন


তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের সর্দার রুমের ইনচার্জ সেলিম মিয়া।

লাভলু মিয়া মোহাম্মদ আলী সরকারের পক্ষের নেতা। তিনি একই উপজেলার রাজরামপুর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে। পেশায় ইটভাটা ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বদরগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন একটি দোকানঘর নিয়ে টিন ব্যবসায়ী জাহিদুল হক জোয়ারদার এবং দোকান মালিক ইশতিয়াক বাবুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। ইশতিয়াক বাবু ভাড়াটিয়াকে দোকানঘর ছাড়ার জন্য চাপ দিলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। পরে বিষয়টি রাজনৈতিক রূপ নেয়।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে দোকান খুলে দেওয়ার দাবিতে শহীদ মিনার এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বিএনপি নেতা শহিদুল হক মানিকের নেতৃত্বে জাহিদুল হকের অনুসারীরা। সেখানে অতর্কিতভাবে উপস্থিত হয়ে মোহাম্মদ আলী সরকারের সমর্থকরা মানববন্ধন পণ্ড করে দেন।


বিজ্ঞাপন


মানববন্ধনে অতর্কিত হামলা নিয়ে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়, শুরু হয় দুই পক্ষেরই নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্রসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় পৌরশহর বাজারের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ২০ জন আহত হন।

এর মধ্যে বিএনপি কর্মী লাভলু মিয়া (৫০), মোক্তারুল ইসলাম (৪৫), মুন্নাফ আলী (৫০), শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও ময়নাল হোসেনকে (২৫) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় লাভলু মিয়া মারা যান। হতাহতরা সবাই উপজেলা বিএনপির নেতা ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকারের কর্মী-সমর্থক। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুপুরের দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ শহরে টহল শুরু করে।

বদরগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান জানান, বিএনপি কর্মী লাভলু মিয়ার মারা যাওয়ার কাগজ এখনও হাতে পাইনি। এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দোষীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মানিক এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মানিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে রংপুর জেলা বিএনপি। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে নোটিশে। তাদের আগামী তিন দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুর কাছে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রতিনিধি/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন