রাজনীতিবিদরা সৎ হলে দেশের ৯৯ শতাংশ অপরাধ রোধ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি বলেছেন, ‘তাদের (রাজনীতিবিদ) নির্দেশেই অপরাধ হয়। পুলিশ ঠিকই ধরে কিন্তু সে বলে আমার দলের লোক ছেড়ে দেন। তার ইঙ্গিতেই রিকশাওয়ালা-শ্রমিক থেকে টাকা নেওয়া হয়। রিকশাওয়ালারা টাকা দেয়, সেই টাকার ভাগ রাষ্ট্রের বড় বড় রুই কাতলারা পর্যন্ত পায়। আমরা লুটপাট-দুর্নীতির বাংলাদেশ দেখতে চাই না। আমরা রাজনীতিবিদদের কাছে চাই সততা আর দুঃশাসনের অবসান।’
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত আটটার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ মনসা বাড়ির সামনে আয়োজিত শ্রী শ্রী বাসন্তী দুর্গোৎসব পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, ‘খুন খারাবি যারা করেছে তাদের বিচার হওয়া দরকার। কারণ কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যারা অপরাধ করেনি, কিন্তু অতীতের মতো কোনো দলের ট্যাগ লাগানো রাজনীতি আমরা বাংলাদেশে দেখতে চাই না। রাজনীতিবিদ যদি সৎ হয় তাহলে দেশে ৯৯ শতাংশ অপরাধ রোধ করা সম্ভব।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি সম্প্রীতির একটি বাংলাদেশ। আগামী দিনে ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার আসবে। মসজিদ যদি পাহারা দিতে না হয়, মন্দির কেন পাহারা দিতে হবে? আমরা সেরকম একটি সহনশীল সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই।
‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলতে কেউ আছে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা এ দেওয়ালটাকে অতিক্রম করতে চাই। দেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার। তাই সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু বলতে কোনো কিছু নেই।’
বিজ্ঞাপন
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর দাবি হচ্ছে যে অনতিবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন। সেটির জন্য এ বছরের শেষে বলা আছে। আমরা এর আগেই স্থানীয় নির্বাচনের দাবি করি।
‘এজন্য আমরা মেয়রসহ কাউন্সিলর প্রার্থী দিয়ে দিয়েছি। জামায়াতের মেম্বার-চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কাজ করছে। জাতীয় সরকার আইন প্রণয়ন করবে। কিন্তু জনগণের সেবা দেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধি অর্থাৎ স্থানীয় সরকারের কোনো বিকল্প নাই। কিন্তু সেগুলো ভেঙে পড়ার কারণে আমরা মনে করি স্থানীয় নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- লক্ষ্মীপুর পৌর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশান, মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি দেবজিৎ নাথ, সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু দেবনাথ ও বিশ্বজিৎ সাহা প্রমুখ।
প্রতিনিধি/এমআর