রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

সৌদি আরবে থেকেও মামলার আসামি দুই ভাই

জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল
প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img
সাব্বির হোসেন।

সৌদি আরবে থেকেও বরিশাল থানায় দায়ের হওয়া ছিনতাই মামলার আসামি হয়েছে আপন দুই ভাই রেজাউল করিম ও রাজিবুল ইসলাম। গত ২৭ মার্চ নগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় এ মামলাটি দায়ের করেছেন মাহামুদা বেগম নামে এক নারী।

এর আগে একই দিন (২৭ মার্চ) দুপুরে নগরীর সোনা মিয়ার পোল এলাকায় গাড়ি পার্কিং নিয়ে মোটরসাইকেল চালক আমিনুল মৃধা ও অটোরিকশা চালক ইমন হাওলাদারের কথা কাটাকাটি হয়। সেই ঘটনায় নগরীর রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের আবুল বাশারের স্ত্রী অটোরিকশার মালিক মাহামুদা বেগম ওই দিনই থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় মোটরসাইকেল চালক আমিনুল ও তার চার ভাইকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে দুইজন আসামি বিদেশে, দুইজন নগরীতে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিল বলে দাবি প্রধান আসামি আমিনুলের।


বিজ্ঞাপন


আসামিদের কেউ নিরাপরাধ হলে তদন্ত শেষে তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন সিকদার। এদিকে বিদেশে থাকা দুই ভাইকে মামলা থেকে বাঁচাতে প্রধান আসামি আমিনুলের কাছে বাদি ১০ লাখ টাকা চেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলার নথিতে মোবাইল নম্বর ভুল দেওয়ার কারণে বাদির সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মোটরসাইকেল পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে মোটরসাইকেল চালক আমিনুল ও অটোরিকশা চালক ইমনের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। তখন অটোচালক ইমনের স্ত্রী শিরিনও তর্কে জড়িয়ে পরেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, চালক ইমন তার অটোরিকশায় যাত্রী নিয়ে সোনা মিয়ার পোল অতিক্রমকালে প্রধান আসামি আমিনুল তার গতিরোধ করে। এরপর সব আসামিরা যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে অটোরিকশা চালক ইমন তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। এসময় আসামিরা ইমনকে লাঠিসোটা নিয়ে মারধর করে। তখন অটোরিকশা চালক ইমনকে রক্ষায় স্ত্রী শিরিন আক্তার এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। এসময় অটোরিকশা ভাংচুর করায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি আমিনুল মৃধা বলেন, মিথ্যা মামলায় বিদেশে থাকা আমার দুই ভাই রেজাউল করিম ও রাজিবুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আমার আরও দুই ভাই হুমায়ন মৃধা ও নজরুল মৃধা ঘটনার সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকলেও তাদের আসামি করা হয়েছে। বিদেশে থাকা দুই ভাইকে রক্ষায় বাদি ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছে।


বিজ্ঞাপন


নগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন শিকদার বলেন, মামলা যেকোনো নাগরিকের বিরুদ্ধেই দায়ের হতে পারে। মামলার তদন্ত শেষে নিরাপরাধ ব্যক্তিদের আইনানুযায়ী অব্যাহতি দেওয়া হবে। চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন