রোববার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বিদ্যুৎহীন টেকনাফে মোমবাতির জন্য হাহাকার

খলিলুর রহমান, বোরহান উদ্দিন
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম

শেয়ার করুন:

বিদ্যুৎহীন টেকনাফে মোমবাতির জন্য হাহাকার

ঘূর্ণিঝড় মোখায় লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কক্সবাজারের টেকনাফের বেশিরভাগ এলাকা। এতে বিদ্যুতের তার ও খুঁটি ভেঙে গেছে। তাই বিদ্যুৎহীন পুরো টেকনাফ। এই সুযোগে টেকনাফের বাজারগুলোতে মোমবাতির দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পাঁচ টাকার মোমবাতি ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার কিছু কিছু বাজারে মোমবাতিই নেই। পুরো এলাকাজুড়ে মোমবাতির জন্য হাহাকার চলছে।

সোমবার (১৫ মে) টেকনাফের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন


সাবারং ইউনিনের নয়াপাড়া বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, অনেকেই জেনারেটরের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। অনেক দোকানে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে।

সবুজ নামের এক ব্যবসায়ী ঢাকা মেইলকে বলেন, গতকাল সকাল থেকে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। তাই মোমবাতি জ্বালিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছি। বাজারে মোমবাতিও পাওয়া যাচ্ছে না।

নয়াপড়া গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। তাই সবাই মোমবাতির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বাজারে গিয়ে মোমবাতিও পাওয়া যাচ্ছে না।

নয়াপাড়া বাজারে ব্যবসায়ী আব্দুল কালাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে টেকনাফ থেকে কোনো মালামাল আমাদের বাজারে আসছে না। তাই বাজারে মোমবাতিসহ অনেক নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।


বিজ্ঞাপন


শাহপরী দ্বীপের বাজারে গিয়েও মোমবাতি সংকটের কথা জানা গেছে। সেই বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কয়েক দিন ধরে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। তাই মোমবাতির চাহিদা অনেক বেশি। গত কয়েক দিন ধরে টেকনাফ শহর থেকে কোনো মালামাল আমাদের বাজারে আসেননি। তাই মোমবাতিসহ অনেক পণ্যই শেষ হয়ে গেছে।

ttt

শাহপরী দ্বীপের বাসিন্দা রহিমা খাতুন বলেন, আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। গত দুই দিন মোমবাতি দিয়ে রাত কাটিয়েছি। কিন্তু আজ বাজারে গিয়ে মোমবাতিও পাওয়া যায়নি। তাই অন্ধকারেই আছি। বিদ্যুৎ কখন আসবে তাও বলতে পারছি না।

সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যার পর টেকনাফ পৌরসভা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ দোকানেই বাতি জ্বালিয়ে ব্যবসা করছেন। কয়েকটি দোকানে জেনারেটর মাধ্যমে বাতি জ্বালানো হয়েছে।

টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদ এলাকার ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া জানান, গতকাল থেকে তাদের বাজারে বিদ্যুৎ নেই। তাই মোমবাতির চাহিদা বেড়েছে। এজন্য ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামে মোমবাতি বিক্রি করছেন।

মোজাম্মেল নামের এক বাসিন্দা ঢাকা মেইলকে বলেন, মোমবাতির জন্য আমাদের এলাকার হাহাকার চলছে৷ এই সুযোগে দোকানিরা মোমবাতির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। পাঁচ টাকার মোমবাতি এখন ১৫ টাকা। ১০ টাকার মোমবাতি ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে রোববার (১৪ মে) দুপুরে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত করে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর মূল আঘাতটি মিয়ানমারে হওয়ায় অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতি হয় বাংলাদেশের। তবে কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ঘূর্ণিঝড়ে। হাজার হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে লাখ লাখ গাছ।

কেআর/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর