ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে উপকূলবর্তী জেলাসমূহের ১৪৯টি ফায়ার স্টেশন। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সতর্ক ডিউটিতে রাখা হয়েছে।
বুধবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার মিডিয়ার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শাহজাহান সরদার।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন টিমের সদস্যরা প্রস্তুত আছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে উপকূলবর্তী জেলাসমূহের ১৪৯টি ফায়ার স্টেশন। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সতর্ক ডিউটিতে রাখা হয়েছে। তারা যেকোনো পরিস্থিতিতে কাজ করবেন সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে আছেন।
এদিকে, বুধবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতরের ৩ নম্বর বিশেষ সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (৮.৯° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৮° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ মে) পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। বর্তমানে এর কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
সতর্কবার্তায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এমআইকে/এএস