কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকরা ফিরে যাচ্ছেন। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জারি করার সঙ্গে সঙ্গে কক্সবাজার ছাড়ছেন এসব পর্যটকরা।
গত কয়েকদিন কক্সবাজার বেড়াতে আসেন অন্তত ১০ হাজার পর্যটক। বেড়াতে আসা অধিকাংশ পর্যটক শুক্রবার (১২ মে) রাতেই কক্সবাজার ত্যাগ করতে দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার রাতে কলাতলী, বাসটার্মিনাল ও লিংকরোড়ের বাস কাউন্টারে দেখা যায় পর্যটকরা গাড়ি ধরছেন গন্তব্যে ফেরার জন্যে।
এসময় বাসটার্মিনালে কথা হয় ঢাকা থেকে আগত পর্যটক সাকিব, মিনার ও সৌরভের সঙ্গে। তারা বলেন, আমরা সবাই একই কোম্পানিতে চাকরি করি। কাজের চাপে সচরাচর ছুটি পাওয়া যায় না। তাই এবার ছুটি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার চলে এসেছি কক্সবাজার। আশা ছিল টানা পাঁচদিন কক্সবাজারে অবস্থান করব, তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তা আর হয়ে উঠেনি। সাগরে এখন ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত, পাশাপাশি সৈকতে নামতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন প্রশাসন। তাই হতাশ হয়ে কক্সবাজার ত্যাগ করতে হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল, গেস্ট হাউস রেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে প্রায় ১০ হাজার পর্যটক এসেছিলেন। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগর উত্তাল ও বিপদ সংকেত থাকায় পর্যটকরা ফিরে যাচ্ছেন।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, বিকালে মাইকিং করে সমুদ্র থেকে সকলকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। সমুদ্র বন্দরে এখন ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এসময় কাউকেই সমুদ্রে নামতে দেয়া হবে না। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই বিপদে সবাইকে নিরাপদে আশ্রয় গ্রহণ করাই উত্তম।
বিজ্ঞাপন
এজেড