সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৩, ০৯:৩০ এএম

শেয়ার করুন:

চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি
ফাইল ফটো

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পর সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়েছে। এরপর থেকে বন্দরের জেটিতে থাকা জাহাজগুলোকে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে অ্যালার্ট-২ জারির পর লাইটার জাহাজগুলোকে কর্ণফুলী নদির অভ্যন্তরে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন


শুক্রবার (১২ মে) দিবাগত মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদফতর ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পর রাতেই বন্দর ভবনে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরে বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা বা নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ কক্ষও চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জাহাজ চলাচল ও পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বন্দরের জেটি, যন্ত্রপাতি, আমদানি-রফতানি পণ্য ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার বিকালে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-২ জারি করা হয়েছিল। আবহাওয়া অফিসের দেওয়া ৪ নম্বর সংকেতের প্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণভাবে এই সংকেত জারি করেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর বিকেলে লাইটার জাহাজগুলোকে সদরঘাট থেকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকার দিকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বন্দর সূত্র জানায়, আবহাওয়া অধিদফতর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা অ্যালার্ট-১ জারি করে। আবহাওয়া অধিদফতর ৪ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর অ্যালার্ট-২ জারি করে। বিপৎসংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য বন্দরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়।


বিজ্ঞাপন


মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ জারি হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হলে বন্দর জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে বহির্নোঙরে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এদিকে, শুক্রবার (১২ মে) রাত ৯টায় আবহাওয়া অধিদফতরের ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ উপকূলের সাড়ে আটশ কিলোমিটারের মধ্যে হাজির হওয়ায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখা শুক্রবার মধ্যরাতে (১২ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে শুক্রবার (১২ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। শনিবার ভোর থেকে চট্টগ্রামের আকাশে মেঘে ঢাকা রয়েছে। পাশাপাশি তীব্র গরমও অনুভুত হচ্ছে। হালকা বাতাসও বইছে না কোথাও। ফলে চরম অস্বস্তিকর সময় কাটাচ্ছে চট্টগ্রামবাসী।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর