সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরছেন লাখো মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৩, ০৯:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরছেন লাখো মানুষ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব মোটামুটি কেটে গেছে। ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি অনেকটা দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এতে উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। পুনর্বাসন কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। রাতের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (১৪ মে) দুপুরে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত করে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর মূল আঘাতটি মিয়ানমারে হওয়ায় অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতি হয় বাংলাদেশের। তবে কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ঘূর্ণিঝড়ে। হাজার হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে লাখ লাখ গাছ। কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।


বিজ্ঞাপন


দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে দেশের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে  চট্টগ্রাম জেলায় এক হাজার ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ, কক্সবাজার জেলায় ৫৭৬টি কেন্দ্রে দুই লাখের অধিক এবং সেন্টমার্টিনে সাড়ে আট হাজার লোককে ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এছাড়া কুতুবদিয়া, সন্দ্বীপ এবং নোয়াখালীর কিছু অংশের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নেই। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে পেরেছি।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কিছুটা কাটার পর বিকেল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষেরা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যানুয়ায়ী, ৬৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে আড়াই লাখ লোক নিজ নিজ বাড়িতে ফিরেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া বেশির ভাগ মানুষ রাতের মধ্যেই বাড়িতে ফিরছে।

fera2


বিজ্ঞাপন


আবহাওয়া অধিদফতরের ২২ নম্বর বিশেষ ও সিরিজের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে এবং দুর্বল হয়ে সিটুয়ে, মিয়ানমারের স্থলে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।

এমতাবস্থায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

তবে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর