বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কুমিল্লা ও ফেনী এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস ও অন্যান্য যানবাহন চালাচলে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করছেন চালকরা।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে দিনভর কিছুটা বিরূপ আবহাওয়া ছিল দেশের বেশিরভাগ এলাকায়। তবে শনিবার দিবাগত রাতের শেষভাগ কিংবা রোববার সকাল নাগাদ কক্সবাজারসহ উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদফতর। শনিবার বেলা গড়িয়ে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই শঙ্কা বাস্তবে দেখা গেছে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়া সেন্টমার্টিন পরিবহনের যাত্রী শহিদুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, কক্সবাজার পৌঁছার আগে যদি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে তাহলে বিপদ হয়ে যাবে। জরুরি প্রয়োজনে যেতে হচ্ছে। কিন্তু পরিবারের সবাই টেনশনে আছে। এরমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে গাড়ি কম চলাচল করছে। যে কয়টা গাড়ি চলছে তারাও খুব সাবধাণতার সঙ্গে ধীরে গতিতেই এগোচ্ছে। এতে সময় একটু বেশি লাগছে।
গাড়িচালক বলেন, বৃষ্টি হলে গাড়ি স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও বেশি সতর্ক থাকতে হয়। রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়।
এদিকে কুমিল্লা বিশ্বরোড এলাকার পর বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। ফেনীর মহিপালসহ এর আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুমিল্লা হাইওয়ে জোনের চন্দ্রগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার মাসুদুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, এখন থেকে ৪০ মিনিট আগে আমাদের এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। মহাসড়কে সতর্কতার সাথে গাড়ি চালানোর জন্য চালকদের বলা হয়েছে।
বিইউ/কেআর/এইউ