রোববার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

কক্সবাজারে ১০ মহাবিপদসংকেত, নিরাপদ আশ্রয়ে ৬ হাজার ট্রলার

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৩, ০৫:৫৩ পিএম

শেয়ার করুন:

কক্সবাজারে ১০ মহাবিপদসংকেত, নিরাপদ আশ্রয়ে ৬ হাজার ট্রলার

কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় মোখা'র প্রভাবে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অফিস থেকে। গভীর সাগর থেকে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে ঘাটে ফিরে এসেছে । এতে উপকূলের নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ট্রলারের  লক্ষাধিক জেলে।

জেলা ফিশিংবোট মালিক সমিতির দাবি, শনিবার (১৩ মে) সকালের মধ্যে ৬ হাজার ট্রলার ঘাটে পৌঁছেছে। 


বিজ্ঞাপন


কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির আগেই শহরের বাঁকখালী নদীসহ টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়ার ঘাটে ৬ হাজার ট্রলারের লক্ষাধিক জেলে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। আর কোনো ট্রলার আপাতত সাগরে নেই।

জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলার কক্সবাজার শহর, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, পেকুয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার আছে ৫ হাজার ১১৩টি। এসব ট্রলারে ১ লাখের বেশি জেলে শ্রমিক থাকলেও তার মধ্যে মৎস্য বিভাগের নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৭৬৪।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান বলেন, গত বুধবার বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ শুরু হওয়ার পর থেকে জেলেদের সতর্ক করে বিভিন্ন উপকূলে প্রচারণা শুরু করে মৎস্য বিভাগ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে শহরের বাঁকখালী নদীতে ফিরতে শুরু করে। কিছু ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের কাছাকাছি দূরত্বে এসে মাছ ধরতে থাকে। শুক্রবার বিকেলে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারির পর দেড় হাজারের মতো ট্রলার ঘাটে ফিরে। 

শুক্রবার রাতে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারির পর আরও হাজার খানেক ট্রলার ঘাটে ফিরেছে। আজ সকাল পর্যন্ত জেলার সব ট্রলার ঘাটে পৌঁছেছ এবং নিরাপদে রয়েছে।


বিজ্ঞাপন


জেলার মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, মাছ ধরার ট্রলারগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৫৮১ টিতে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জিএসএম ডিভাইস লাগানো আছে। ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত পড়ামাত্র মৎস্য বিভাগের জয়েন্ট মনিটরিং সেল (চট্টগ্রাম ও ঢাকা) থেকে ট্রলারগুলোয় বার্তা পাঠানো হয়। বার্তা পেয়ে ট্রলারগুলো গভীর সাগর থেকে উপকূলের দিকে ছুটে আসে। ওই পদ্ধতির মাধ্যমে ট্রলারের ভেতরে থাকা লোকজনের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ রাখা যায়।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর