ঘূর্ণিঝড় মোখা সুপার সাইক্লোনে রূপ নিয়েছে। একই সাথে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সেখানকার জনমনে।
শনিবার (১৩ মে) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ঢাকা মেইলকে এই তথ্য জানিয়েছেন কোরাল ভিউ রিসোর্টের ম্যানেজার জুবায়ের।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, ঘণ্টাখানেক আগ থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। তবে সবাই আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছে।
একই তথ্য জানিয়েছেন সি প্রবাল রিসোর্টের গোলাম মোস্তফাও। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, আজ সেন্টমার্টিন থেকে কয়েক হাজার মানুষকে টেকনাফে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে সাগর উত্তালের কারণে আরও কয়েক হাজার মানুষ দ্বীপ ছাড়তে পারেনি। তারা সেই এলাকার পাকা বাড়ি ও বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন। তবে বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরের পর থেকেই সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছেন। সেখানকার বহুতল হাসপাতাল, সাইক্লোন সেল্টার ও গেস্ট হাউজের পাশাপাশি বহুতল রিসোর্টগুলোকেও আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিনে সরকারি স্থাপনা, যেগুলো শক্ত, মজবুত, দু-তলা, তিনতলা- এরকম ৩৭টা স্থাপনা আমরা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছি। ওখানে ৭ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়াও দ্বীপে যেসব দ্বিতল বা তিনতলা আবাসিক হোটেল বা রিসোর্ট রয়েছে, সেগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিইউ/কেআর/এইউ