রোববার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

রাতেই মোখার প্রভাব পড়বে মিয়ানমারে, শনিবার টেকনাফ-সেন্ট মার্টিনে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৩, ১১:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

রাতেই মোখার প্রভাব পড়বে মিয়ানমারে, শনিবার টেকনাফ-সেন্ট মার্টিনে

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের আঁচ লাগতে শুরু করেছে প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারে। শুক্রবার দিবাগত রাতেই মোখার প্রভাব পড়তে পারে দেশটির ইয়াগং রাজ্যে। শনিবার দিনভর দেশটির সমুদ্র উপকূলে তাণ্ডব চালাতে পারে মোখা। একই সময়ে বাংলাদেশ উপকূলের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আঘাত হানতে পারে ঝড়টি। 

শুক্রবার রাতে বাতাসের গতি-প্রকৃতি বিষয়ক ওয়েবসাইট উইন্ডি ডটকম থেকে এ পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। 


বিজ্ঞাপন


ওয়েবসাইটটির তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়টি অতি প্রবল ঝড়ে রূপ নিয়েছে। যা বাংলাদেশ উপকূল থেকে প্রায় ৮৫০-৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। 

পূর্বাভাসের তথ্য বলছে, রাতের মধ্যেই ঝড়টি তার দিক পরিবর্তন করবে। নিজ অবস্থান থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাবে মোখা। 

এতে মিয়ানমারের ইয়াংগন প্রদেশে ঝড়ের উপস্থিতি টের পাওয়া যাবে শুক্রবার রাতেই। আগামীকাল দিনভর মোখার শক্তি পরখ করতে হতে পারে ইয়াংগন, জিয়া, নাগাপলি, পাথেইনসহ সমুদ্র উপকূলের এলাকাগুলোকে। 

একই সময় ঘূর্নিঝড়ে প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের টেকনাফ, ভাসান চর, উখিয়া, শাহ পরীর দ্বীপ, সেন্ট মার্টিন এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও অঞ্চলগুলোতে৷ 


বিজ্ঞাপন


cycloneআবহাওয়াবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটারের মধ্যে হলে সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় এবং বাতাসের গতিবেগ ১১৮ থেকে ২২০ কিলোমিটারের মধ্যে হলে সেটিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। 

দেশ ও দেশের বাইরের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মোখার গতিবেগ থাকতে পারে প্রায় ২০০ কিলোমিটার৷ অর্থাৎ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই উপকূলে আছড়ে পড়বে মোখা। 

তবে বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটারের বেশি হয়ে থাকে তাহলে সেটিকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়। মোখা সুপার সাইক্লোনে রূপ নিবে কিনা তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। 

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যা ৬টার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে (রোববার) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ১৩ মে (শনিবার) সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা’-র অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এদিকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

কারই/এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর