ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে মেঘনার উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। যদিও শনিবার সকাল পর্যন্ত নদীতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখা গেছে। তবে, ভয়ে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার নিয়ে উপকূলে ফিরতে শুরু করেছেন লক্ষ্মীপুরের জেলেরা।
এদিকে লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় এলাকা এবং চরগুলোতে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এরপর থেকেই গভীর নদীতে থাকা জেলেরা মাছ শিকার বন্ধ রেখে উপকূলে ফিরে আসছেন।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৩ মে) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনা নদীর তীরবর্তী মতিরহাট এলাকায় গিয়ে নদীতে নৌকা শূন্য দেখা গেছে। নদীর ঘাটে জেলে নৌকা এবং ট্রলার নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। জেলেরা জাল গুছিয়ে বাড়ি ফিরে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মাছঘাটেও তেমন একটা মাছ কেনাবেচা হতে দেখা যায়নি।
মতিরহাট এলাকার জেলেরা বলেন, শুক্রবার রাতভর কিছু জেলে গভীর নদীতে মাছ শিকারে ছিলেন। শনিবার সকালে মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন। আবার কেউ কেউ মাছ শিকার থেকে বিরত রয়েছেন। আপাতত তারা আর মাছ শিকারে যাবেন না। ঘূর্ণিঝড়ের প্রদুর্ভাব কেটে গেলে তারা আবার নদীতে নেমে পড়বেন।
জেলে মাহফুজ ও জামাল হোসেন জানান, তারা ১৮ জন জেলে বড় ফিশিং ট্রলারে করে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করেন। নদী এবং সাগরে বিপদ সংকেতের কারণে গত দুইদিন আগেই ট্রলার নিয়ে তীরে চলে আসেন তারা। এখন জাল মেরামত করে নিচ্ছেন। সংকেত কেটে গেলে আমার মাছ শিকারে নেমে পড়বেন।
মতিরহাট এলাকার বাসিন্দা মহি উদ্দিন ঢাকা মেইলকে বলেন, তাদের এলাকার জেলেরা গভীর নদীতে গিয়ে মাছ শিকার করে। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে জেলেরা গভীর নদীতে মাছ শিকারে যায়নি। কিছু কিছু জেলে নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়ে মাছ শিকার করে।
মতিরহাটের মাছঘাটের আড়ৎদার মাহফুজুর রহমান জানান, নদীতে জেলে নৌকা কম থাকায় ঘাটে প্রভাব পড়েছে। সকাল থেকে তেমন একটা মাছ ঘাটে আসেনি। ভয়ে অনেক জেলে নদীতে যায়নি।
বিজ্ঞাপন
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, নদী এবং সাগরে বিপদ সংকেত চলছে। জেলেরা যাতে নদী বা সাগরে মাছ শিকারে না যায়, সেজন্য তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিনিধি/এইচই
