সর্ব দক্ষিণের উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কোন প্রভাব না পড়ায় বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ পরিবার ও নিজের পেটের কথা ভেবে যার যার কাছে ছুটছেন।
রোববার (১৪ মে) সকাল থেকে সুন্দর আবহাওয়া ও পরিবেশ দেখে শহর বা বাজার মুখি মানুষের জনমনে কৌতুহল ও আতঙ্ক কেটে গেছে। অনেক মানুষ রাতে সাইক্লোন সেন্টারে না গিয়ে নিজের বাসাতেই আশ্রয় নিয়েছিল পরিবার নিয়ে।
বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় বরগুনা জেলায় মোট ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসবের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ১৮৫টি, আমতলীতে ১১১টি, তালতলীতে ৫৩টি, পাথরঘাটায় ১২৪টি, বেতাগীতে ১১৪টি এবং বামনায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন। তবে এই জেলায় যে মানুষের বসবাস তাতে সাইক্লোন সেন্টার পর্যাপ্ত নয়।
পৌর শহরের ব্যবসায়ী নোমান ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই আমাদের ব্যবসার উপর লেগে থাকতে হয় না হয় রাতে খাবার জুটবে না তাই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব না দেখতে পেয়ে আমরা ব্যবসার কাজে নিয়োজিত হয়েছি।
ভ্যানে করে ফল বিক্রেতা লিয়াকত আলী বলেন, আল্লায় যদি বিপদ দেয় কেউ রাখতে পারবে না! তারপরও মোগো বরগুনা অনেক ভালো আছে। যদি বড় ঝড় তুফান হয়, তখন নিরাপদে যামু এখন বেচা কেনা করি নাইলে পেটে ভাত জুটবে না। এমনি বইন্যার কথা হুইন্যা মানুষ জন একটু কম নামে বাহিরে। বেচাকিনা একটু কম হয়।
হোটেল ব্যবসায়ী সালেয়া আক্তার বলেন, হোটেলই আমাদের বাসা, হোটেলেই আমাদের ভরসা। আট নং মহা বিপদ সংকেত শুনে সবকিছু গুছিয়ে রেখেছিলাম। তবে আল্লাহর রহমতে কোন বিপদ আসেনি। আজকে আসার সম্ভাবনা থাকলেও পেটের তাগিদে হোটেল খুলতে হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পৌর মেয়র এডভোকেট কামরুল হাসান মহারাজ বলেন, জরুরী কাজে অনেকেই ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন তবে কোন ধরনের ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাব পড়লে সবাই নিরাপদে আসবে এবং শহরের সকল আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বরগুনা উপকূলীয় জেলা হওয়ায় আমরা ঝুঁকিতে রয়েছি। তাই ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছি। কাজের তাকিদে হয়তো অনেকেই মাঠে কাজ করছে। তবে সবাইকে হুঁশিয়ারির জন্য সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন টিম মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিনিধি/একেবি