বরিশালের উপকূলীয় ও নিম্ন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মোখা’র হালকা প্রভাব পড়লেও অন্যান্য অঞ্চলে তেমন প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। কিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও তা পরিমাপযোগ্য ছিলো না। তবে ঘণ্টায় ২২ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে গিয়েছে। বরিশাল নদীবন্দরকে দেওয়া ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেতের পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে রাতের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও দিনে ১-৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যা ৬টায় এ তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল।
বিজ্ঞাপন
বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। পরে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরের ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল রয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক অঞ্চলে বজ্রমেঘ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে আগামী ৭২ ঘণ্টায় বরিশালের উপকূল অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বরিশালের উপকূল ছাড়া অন্যান্য জায়গায় দমকা হাওয়া ও ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নদী কেন্দ্রিক অঞ্চলে দমকা বাতাস বইছে। এসব অঞ্চলেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়েও ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
বরিশাল সদর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল জানিয়েছে, মাইকিংয়ের মাধ্যমে মাছ ধরার নৌকা, যাত্রীবাহী ট্রলারসহ সকলকে নিরাপদ স্থানেই থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে বরিশাল থেকে লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছোট বড় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক। সন্ধ্যা পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এমএইচটি