সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাজারও আশ্রয়কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৩, ১০:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাজারও আশ্রয়কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত
ছবি : ঢাকা মেইল

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ১ হাজারের অধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। রোববার (১৪ মে) বিকেলে মোখা বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার সময় উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র বাতাস ও ঝড়ো হওয়া হয়। এতে অস্থায়ী কিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

তবে কোনো ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান।


বিজ্ঞাপন


রোববার সন্ধ্যায় মিজানুর রহমান বলেন,  রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘরগুলো আসলে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র, বাতাসের বেগে বেশ কিছু আশ্রয়কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১ হাজারের অধিক আশ্রয়কেন্দ্র  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।  যার মধ্যে কোনোটি আংশিক, কোনোটি সম্পূর্ণ। দু-একটি জায়গায় গাছ পড়েছে। দু-একটি জায়গায় মাটি সরে গিয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

rohinga

ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামতে শেল্টার সেক্টর ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে শেল্টারগুলোর ক্ষতি হয়েছে সেগুলো মেরামতে আমাদের শেল্টার সেক্টর কাজ করছে। আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম বাতাসের গতিবেগ যাই হোক না কেন, এগুলো যেহেতু অস্থায়ী শেল্টার এবং এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। পর্যাপ্ত শেল্টার কীট আছে এবং শেল্টার সেক্টর সেগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের ডিস্ট্রিবিউটর করবে।

রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা শফিক মিয়া বলেন, বৃষ্টি ও বাতাসের সময় আমাদের ভয় কাজ করছিল। আমার ব্লকে বেশ কয়েকটি ঘরের ক্ষতি হয়েছে। ছালা ও বেড়া উড়ে গেছে প্রায় ২৫টির মতো। 


বিজ্ঞাপন


পরিবারসহ ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি কমিউনিটি সেন্টার আশ্রয় নিয়েছিলেন আব্দুল করিম। তিনি বলেন, আমার ঘর পাহাড়ের নিচে তাই আমি এখানে চলে এসেছিলাম পরিবারের ৫ সদস্যসহ। বৃষ্টি থেমেছে। এখন চলে যাব। জানি না ঘর ঠিক আছে কিনা।

৪ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন আশ্রিতদের সচেতন করা, নিরাপদে সরিয়ে নেওয়াসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন কাজে তৎপর ছিল।

সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক মিজানুর রহমান বলেন, ‘মাইকিং করা, ঝুঁকিপূর্ণ শেল্টারে থাকা মানুষগুলোকে কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যাওয়াসহ আমরা বিভিন্ন কাজে সব সময় ছিলাম। এখন ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী কোনো ক্ষতি হলে সেখানেও আমরা কাজ করব। ইতোমধ্যে ভেঙে পড়া গাছ সরানো হচ্ছে।

৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আমির জাফর জানান, ঘূর্ণিঝড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলোয় মেরামতে কাজ চলছে। 

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর