খুলনায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলার জন্য ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়াও উপকূলের মানুষকে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে একই দিন সাড়ে বিকেল ৩টায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় সভায় সভাপতিত্ব করবেন খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
বিজ্ঞাপন
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, খুলনার ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এরমধ্যে কয়রায় ১১৭টি, দাকোপ উপজেলায় ১১৮টি, পাইকগাছায় ৩২টি, বটিয়াঘাটায় ২৭টি, রূপসায় ৩৯টি, ফুলতলায় ১৩টি, দিঘলিয়ায় ১৬টি ও ডুমুরিয়ায় ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে।
পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম জানান, খুলনায় এখনও ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাব পড়েনি। এরপরেও আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ইতোমধ্যে ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা পর্যায়ের আমাদের কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া বিপদ সংকেত জারি হলে তারা এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করবেন।
প্রতিনিধি/এইচই

















































































































































































































































































