পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্কে পর্যটক কমতে শুরু করেছে। অধিকাংশ হোটেল মোটেলের বুকিং বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্ক উপকূলীয় এলাকাজুড়ে।
সকালে সৈকতের জিরো পয়েন্ট, গঙ্গামতির সৈকত, ঝাউবন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাতেগোনা কিছু পর্যটক থাকলেও পুরো এলাকা ফাঁকা।
বিজ্ঞাপন
হোটেল-মোটেল ও স্থানীয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোখা আতঙ্কে বাতিল হচ্ছে শুক্রবারসহ আগামী ৪-৫ দিনের বেশিরভাগ বুকিং।
সৈকতের ফটোগ্রাফার আব্দুর রহিম বলেন, এ সময়ে কমবেশি পর্যটক থাকে কিন্তু শুক্রবার বেশি হয়। তবে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে শুক্রবার পর্যটক অনেক কম। সামনে দু-একদিন আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে।
হোটেল ফ্রেন্ডস পার্কের পরিচালক সুজন মিয়া বলেন, শুক্রবার ছুটির দিনে ১৫টি রুমের মাত্র চারটি বুকিং আছে। বাকিগুলো খালি। আরও ছয়টি রুম বুকিং ছিল। সেগুলোও বাতিল করা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এখনও সমুদ্র এলাকায় পড়েনি। তবুও আমরা সার্বক্ষণিক সবাইকে সতর্ক করছি। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আমাদের টিম প্রস্তুত রয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস

















































































































































































































































































