রোববার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বাড়ছে সাগরের গর্জন, আছড়ে পড়ছে ঢেউ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৩, ০৩:১০ এএম

শেয়ার করুন:

বাড়ছে সাগরের গর্জন, আছড়ে পড়ছে ঢেউ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রভাব ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যেই উপকূলীয় এলাকাগুলোতে সাগরের গর্জন বাড়ছে। কিছুটা বড় আকারের ঢেউ আছড়ে পড়ছে সাগর তীরে। উপকূলীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। 

আরজু কুয়াকাটার স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি বলেন, সৈকতের পানি উপকূলের দিকে প্রায় ২০ ফুট এগিয়ে এসেছে। ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে উপকূলে। সাগরের গর্জনও বেশি শোনা যাচ্ছে। 


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও জানান, শনিবার সারাদিন উপকূলে তেমন রোদের দেখা মেলেনি। দুপুরে ও সন্ধ্যায় হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাতাস বাড়ছে উপকূলে।

এদিকে সেন্টমার্টিনের কোরাল ভিউ রিসোর্টের ম্যানেজার জুবায়ের জানান, ঘণ্টাখানেক আগ থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। তবে সবাই আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছে। 

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সেন্টমার্টিনের আবহাওয়ায় সুনশান নীরবতার পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে হালকা বাতাস শুরু হয়েছে।

সেন্টমার্টিনের স্থায়ী বাসিন্দা ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য নজির আহমেদ বলেন, সেন্টমার্টিনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, তবে খুবই হালকা। বাতাস তেমন নেই। 


বিজ্ঞাপন


ঝড়ের অগ্রভাগ আঘাত হেনেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বললেন, এখন পর্যন্ত এমন কিছুই আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

শনিবার (১৩ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদফতরের ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এটি গত মধ্যরাতে (১৩ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। 

মনোয়ার হোসেন জানান, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়েছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

টিএই/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর