শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাব অনেকটা কেটে গেলেও এর কোনো প্রভাব পড়েনি উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে। জেলায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করলেও বৃষ্টি কিংবা বাতাসের দাপট তেমন একটা ছিল না। এছাড়া জলোচ্ছ্বাসও দেখা যায়নি।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও সামান্য দুর্বল হয়েছে। রোববার (১৪ মে) বিকেল ৩টায় এর কেন্দ্র কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের স্থলভাগের ওপর অবস্থান করছে। সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
>> আরও পড়ুন: টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের ৮০ শতাংশ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে ঝালকাঠিতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে আগে থেকেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে নদীর তীরের অনেক মানুষকেও ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, রোববার (১৪ মে) সকাল পর্যন্ত জেলার ৬১টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় জেলার ৬১টি সাইক্লোন শেল্টার ছাড়াও পাঁচ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা রয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা ও সকল উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোলরুমও খোলা রয়েছে।
>> আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’, সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র সুরক্ষিত
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, ইতোমধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো ও ভারী খাবার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম ও পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল ইতোমধ্যেই রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রও পরিদর্শন করেছেন। তবে এখনো ঘূর্ণিঝড় সচেতনতায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে ঝালকাঠি রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা।
সার্বিক বিষয়ে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘জেলায় পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নেই, তবে পর্যাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা সাইক্লোন শেল্টারের পাশাপাশি পাঁচ শতাধিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছি। এতে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।’
প্রতিনিধি/আইএইচ