দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে কিছুটা উত্তাল রয়েছে কুয়াকাট সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সভা করেছে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (১০ মে) ভোর ৬টার দিকে পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছেন।
আবহাওয়া অফিস জানায়, নিম্নচাপটি চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। এছাড়া সব মাছধরা ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বেড়েছে গরমের তীব্রতা। জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই বৃষ্টি কামনায় করছেন বিশেষ প্রার্থনা।
কলাপাড়া বাসস্ট্যান্ডের শ্রমিক দুলাল মিয়া জানান, আমরা বিভিন্ন পরিবহন ও ট্রাকে আসা মালামাল আনা নেওয়া করি। কিন্তু এখন গরম এতটা বেড়েছে দিনের বেলা কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই রাতের বেলায় আমরা বেশি কাজ করছি। আল্লাহর কাছে আমরা বৃষ্টি কামনা করছি।
কলাপাড়া পৌর শহরের ফেরিঘাট এলাকার রিক্সা চালক সামসু সিকদার জানান, মানুষ বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যাত্রী একটু কম। আয়ও কম। এছাড়া এতো গরমে রিকশা চালিয়ে আয় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে আজ উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিবে কিনা সেটা এখনও নিশ্চত বলা যাচ্ছে না। গরমের তীব্রতা আরও ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞাপন
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমরা ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ মোকাবেলায় সভা করেছি। আমাদের উপজেলার ১৭৫টি সাইক্লোন সেন্টার ও ১৯টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এজে

















































































































































































































































































