ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে আগামী দুই দিন ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে যেসব যাত্রী আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রার কথা রয়েছে তারা ঢাকায় এসে ফ্লাইট ধরতে পারবেন। যাত্রীদের পাঁচ ঘণ্টা আগে হজরত শাহজালাল রহ. আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাতে হবে। বিষয়টি আগে থেকেই অবগত করলে এয়ারলাইনস সংশ্লিষ্টরা যাবতীয় সাহায্য করবেন।
শনিবার (১৩ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জনসংযোগ তাহেরা খন্দকার।
বিজ্ঞাপন
এই কর্মকর্তা জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। তবে বাতিল হওয়া ফ্লাইটের যাত্রীরা ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রা করতে পারবেন। এজন্য তাদের হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পাঁচ ঘণ্টা আগে আসতে হবে।
তাহেরা খন্দকার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক রুটের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পরে সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। এজন্য বাতিল ফ্লাইটে যাত্রীদের বিমান অফিসে ১৩ ও ১৪ মে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ার কক্সবাজার-চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে চলাচলকারী ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে। এছাড়া আজ ১৩ মে সকাল ৬ টা থেকে আগামীকাল ১৪ মে রাত ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে সব রুটের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। নিরাপত্তার খাতিরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী সব প্লেন হজরত শাহাজালাল বিমানবন্দর আনা হয়েছে। আপাতত আগামী দুই দিন শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীরা দেশ-বিদেশের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।
ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে সাগরবেষ্টিত জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ৮ নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে এমন তথ্য জানানোর পর এই দুই বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট উঠানামা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই দুই বিমানবন্দরে আপাতত প্লেন ওঠানামা বন্ধ থাকছে।
বিজ্ঞাপন
এমআইকে/জেবি