ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ শক্তি বাড়িয়ে সাগর থেকে স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। এর গতিপথ বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল। রোববার (১৪ মে) নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা আবহাওয়াবিদদের। এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। ৮ নম্বর বিপদ সংকেত রয়েছে চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে।
আসন্ন এই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় আক্রান্ত মানুষের পাশে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিচ্ছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।
বিজ্ঞাপন
কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলার উপকূলের কয়েক লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বিপদের মুখে থাকা সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রায় ৮৫০০ মানুষকে ‘সুপার সাইক্লোন’ মোকাবেলায় সক্ষম ৩৭টি অবকাঠামোয় তোলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার জেলা জুড়ে প্রতিটা গ্রাম পাড়া মহল্লায় একযোগে জনসচেতনতা, পাহাড় ধস প্রবণ এলাকা থেকে মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়াসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার লক্ষ্যে শুকনো খাদ্য সংগ্রহ, মেডিকেল টিম নিয়ে একযোগে মাঠে নেমেছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।
কক্সবাজার জেলায় কর্মরত ডাক্তার এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশেষ এই মেডিকেল টিম করা হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অতীতেও দেশের প্রতিকূল অবস্থায় সাধারণ জনগণের পাশে ছিল আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে মহেশখালী উপজেলা ছাত্রলীগ সোনাদিয়া আইল্যান্ড থেকে বয়স্ক নারী/পুরুষ ও শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়ন কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। টেকনাফ পৌর ছাত্রলীগ, দ্বীপ ইউনিয়ন সেন্টমার্টিন ছাত্রলীগ, কুতুবদিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ, রামু উপজেলা ছাত্রলীগ, কক্সবাজার শহর ছাত্রলীগ, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগ নিজ নিজ এলাকায় মাইকিং, মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়াসহ প্রত্যেকটি আশ্রয়ন সেন্টারে খাদ্যসহ সার্বক্ষণিক বিভিন্ন ধরনের সহায়তার ব্যবস্থা করছেন।
কেআর/এএস