ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে এক হাজার ৬০৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে ১০ লাখ সাত হাজার ১০০ জনকে আশ্রয় দেওয়া যাবে।
শুক্রবার (১২ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. সেলিম হোসেন গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও এই দুই জেলার প্রশাসনের সব স্তরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, পৌর ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটি সভা করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলায় ২০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৫৯০ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে তিন মেট্রিক টন টোস্ট বিস্কুট, তিন টন ড্রাই কেক, ২০ হাজার খাবার স্যালাইন ও ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এই জেলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) আট হাজার ৬০০ ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির দুই হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ৫৭৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৯৯ জন ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।
চট্টগ্রামে নগদ ১৪ লাখ আট হাজার ৫০০ টাকা বরাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৬০৮ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে তিন মেট্রিক টন টোস্ট বিস্কুট, তিন মেট্রিক টন ড্রাই কেক ও ৩০ হাজার প্যাকেট খাবার স্যালাইন মজুদ রাখা হয়েছে। আরও দেওয়া হয়েছে ৬০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও।
বিজ্ঞাপন
জেলাটিতে ৫৩০টি স্থায়ী ও ৫০০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেগুলোর ধারণক্ষমতা পাঁচ লাখ এক হাজার ১১০ জন। এরইমধ্যে সিপিপির আট হাজার ৮৮০ ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আট হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারা আবহাওয়ার বার্তা প্রচার করছে।
ডিএইচডি/জেবি