বঙ্গোপসাগর সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র। সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০- ১৬০ কিলোমিটার। দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে উপকূলের সমুদ্রগামী জেলে পরিবারের মাঝে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ শক্তি সঞ্চার করে উপকুলের দিকে ধেয়ে আসছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর দুরবর্তী সংকেত জানিয়ে দেওয়া দিতে বলা হয়ছে।
বিজ্ঞাপন
আগামী রোববার (১৪ মে) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে আঘাত হানতে পারে উপকুলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’।
বরগুনার সমুদ্রগামী প্রায় দুই শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার এখনো উপকূলে ফিরে আসেনি। কয়েক শতাধিক মাছধরা ট্রলার বিষখালী, বলেশ্বর এবং সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আশ্রয় নিয়েছে।
এ ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় বরগুনা জেলায় মোট ৬৪২ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসবের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ১৮৫ টি, আমতলীতে ১১১ টি, তালতলীতে ৫৩ টি, পাথরঘাটায় ১২৪ টি, বেতাগীতে ১১৪ টি এবং বামনায় ৫৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন।
সদর উপজেলার নলী গ্রামের বাসীন্দা সমু্দ্রগামী জেলে পরিবারে সদস্য রফিক বলেন, আমার বাবা গত পাচ দিন আগে সমুদ্রে মাছ শিকারে গিয়েছেন এখন পর্যন্ত ফেরেনি। ঘুর্ণিঝড় ‘মোখা’ যে পরিমানে শক্তিশালী হচ্ছে তাতে অনেক ভয় হচ্ছে জানি না কি হয়। সরকারের কাছে দাবি যে সকল জেলেরা এখনও ফিরে আসেনি তাদের যাতে দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যাবস্থা করে।
বিজ্ঞাপন
ফিরে আসা সমুদ্রগামী মাছ ধরা ট্রলারে মাঝি জাফর বলেন, এখন আমাদের মাছ ধরার মৌসুম শুরু গত কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম সমুদ্রে আবহওয়া খারাপ হওয়া আবার চলে এসেছি । আর কয়েকদিন পরে আবার মা ইলিশ রক্ষার অবরোধ। এর মধ্যেই এই ঘুর্ণিঝড় " মোখা" যেন আমাদের মরার উপরে খারার ঘা। জানি না এই সিজনে আমাদের কপালে কি আছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, গভীর সমুদ্র উত্তাল থাকায় আজ (১২ মে) বেশ কিছু ট্রলার নিরাপদে ঘাটে এসে পৌঁছেছে। তবে প্রায় দুই শতাধিক ট্রলার এখনও গভীর সমুদ্রে রয়েছে।তারা নেটওয়ার্কের বাইরে থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জেলা মৎস অফিসের নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করা হয়েছে। যাতে কোন মাছ ধরার ট্রলার নতুন করে সমুদ্রে না যায়। এর মধ্যে কিছু ট্রলার উপকূলের দিকে রওনা হওয়ার সংবাদও পাওয়া গেছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রস্তুতি সম্পর্কে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বরগুনা উপকূলীয় জেলা হওয়ায় আমরা ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছি।
তিনি আরও বলেন, সকল জেলেরা এখনও সাগর থেকে ফিরেনি তাদের জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া ট্রলার মালিক সমিতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কোনো ট্রলার সাগর বা নদীতে নতুন করে মাছ ধরতে না যায়।
প্রতিনিধি/ এজে

















































































































































































































































































